শনিবার কুমিল্লায় টাউন হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের জেলা ও মহানগর কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের ঘন্টা ব্যাপি গুলি ও হাতবোমা ও সংঘর্ষের পর নগরীর প্রানকেন্দ্র কান্দিরপাড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় একপক্ষের ছুরিকাঘাতে কুমিল্লা শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ও কুমিল্লা সার্ভে ইনস্টিটিউটের ভিপি সাইফুল ইসলাম মারা গেছেন।
সাইফুল ইসলাম শনিবার গুরতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, এর পর আজ রোববার সকাল সোয়া ৯টায় নগরীর মুন হাসপাতালেই তিনি মারা যান ।
একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে শনিবার ভর্তি হয়, তাঁর অবস্থা এতোটাই আশঙ্কাজনক ছিল যে তাঁকে ঢাকায় প্রেরণের মতো ঝুঁকি নেয়া যায়নি। এখানে অস্ত্রেপাচার করে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়, কিন্তু তাকে বাঁচানো গেলনা ।
তিনি বলেন, সাইফুলের শরীরের অতিরিক্তি রক্তক্ষরণেই তিনি মারা যান।
নিহত সাইফুল ইসলাম গোবিন্দপুর এলাকার নুরুল হুদার (কালু মিয়া) ছেলে।
সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেছেন।
এদিকে সাইফুলের মৃত্যুর খবর নগরীতে ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. খোরশেদ আলম জানান, পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় নগরীতে অতিরিক্ত র্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন রাখা হয়েছে।
শনিবার বিকালে কুমিল্লা টাবুন হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের জেলা ও মহানগর কর্মী সমাবেশের পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ।