বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বাধা না দিয়ে জনগণ কার পক্ষে আছে তা প্রমাণ করতে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে দলটি।
রবিবার এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু এ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।
খালেদা জিয়ার জনগণের সামনে দাঁড়ানোর অধিকার নেই- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিএনপি মুখপাত্র।
বিবৃতিতে তিন সিটি নির্বাচন প্রাক্কালে ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনে’ গঠিত সরকারের নানা পর্যায় থেকে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ‘বিষোদগার ও রুচি বিবর্জিত’ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারন আইন-আদালতের প্রতি বরাবরই শ্রদ্ধাশীল। শাসকদলীয় সন্ত্রাসের মুখে নিরাপত্তাজনিত কারণেই তিনি কয়েক দফা আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পর পরই তিনি আইন-আদালতে প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন।’
‘কিন্তু আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বিরোধী দলে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে রুজু মামলায় তিনি কতবার আইন-আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার জনগণের সামনে দাঁড়ানোর অধিকার নেই- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতৃবৃন্দকে জনগণের কাছে যেতে বাধা না দিয়ে একবার প্রমাণ করুন জনগণ কার পক্ষে আছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে গত ৫ জানুয়ারি থেকে কার্যতঃ অন্তরীণ রেখে তার বের হওয়ার পথে বালুর ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ করে সরকার প্রমাণ করেছে, তারা নিজেরাই জনগণের সামনে দাঁড়ানোর সাহস হারিয়ে ফেলেছেন।’
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘খুন, গুম ও লুটপাটের সংস্কৃতি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে মোটেই মানানসই নয়। এরশাদ, ইনু ও মেনন সহযোগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে খুন, গুম ও অপহরণসহ সকল ঘটনায় জাতিসংঘের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক তদন্ত চায় বিএনপি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, চোরাগলির পথ বেয়েও ক্ষমতারোহনের স্বপ্ন দেখে না। জনগণের ভোটের প্রতি বিএনপির আস্থা বরাবরের মতই আছে। সরকার অতিসত্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে তাদের জনগণের সামনে যেতে বলছি।’
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘রাজনীতিতে বহুমত থাকবে, যা সংবিধানেও স্বীকৃত। কিন্তু ভিন্নমত প্রকাশে স্বাধীনতা হরণ, খুন, গুম ও গ্রেপ্তারি প্রক্রিয়ায় ভয়ের সংস্কৃতি চালু রেখে শুধু নতুন মোড়কে বাকশালী ব্যবস্থা কায়েম করা যাবে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত।’