ফেন্সিডিল ও জেনোসেডিলসহ সিলেটের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের স্ত্রীর গাড়িকে আটক করেছে র্যাব-৯।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর শিবগঞ্জ শাকিল কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে জেলা প্রশাসকের স্ত্রীর ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি নং (সিলেট-ঘ ১১-০২৫৭) আটক করে। এসময় র্যাব ফেন্সিডিল ব্যবসার সাথে জড়িত চালক রুমন মিয়া (২৭) কে অাটক করে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় র্যাব-৯ এর কার্যালয়ে উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিল ও চালককে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৯ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন থেকে সরকারি গাড়ি দিয়ে একটি চক্র ফেন্সিডিলের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে নগরীতে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল নগরীর শিবগঞ্জ এলাকার শাকিল কমিউনিটি সেন্টারের সামনে চেকপোস্ট বসায়। এসময় জেলা প্রশাসকের স্ত্রীর গাড়ি চালক সরকারি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা মাত্রই র্যাব গাড়িটিকে আটক করে। পরে গাড়িটি তল্লাশি চালিয়ে র্যাব ডারবি সিগারেটের কাটুনে রাখা ১৮২ বোতল জেনোসেডিল ও ১৯৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ চালক চালক রুমন মিয়া (২৭) কে অাটক করে। রুমন মিয়া হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার ৮নং বাগামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে সার্কিট হাউসের একটি কক্ষে বসবাস করে আসছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে র্যাবকে জানায়,প্রায় ২বছর থেকে সে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গাড়ি চালিয়ে আসছে। এছাড়াও সে এক বছর থেকে ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে আসছে নগরীতে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের স্ত্রীর ডিউটি শেষে শিবগঞ্জ সেনপাড়া এলাকার এক গ্যারেজ মালিকের অর্ডার অনুযায়ি সে এগুলো নিয়ে এসেছে। এইসব জেনিসেডিল ও ফেন্সিডিল সিলেট সার্কিট হাউসের গাড়ির গ্যারেজের পাশে রাখা ছিল। এগুলো জকিগঞ্জ থেকে নিয়ে এসেছিল সে।