অবশেষে বর্ষবরণের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি। কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে কমিটির কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইদুল ইসলাম ভূঁইয়া মামলা দায়েরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শ্লীলতাহানি ও এতে সহায়তার অভিযোগে গতকাল বুধবার রাতে উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
তবে মামলায় কারও নাম উল্লেখ বা আসামির সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
তদন্তের স্বার্থে এ সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীর কোনো তথ্য থাকলে তা কমিটির আহ্বায়ক সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদের দপ্তরে লিখিতভাবে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে অফিস চলাকালে জমা দিতে বলা হয়। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল দেন। ঘটনা তদন্ত করে ১৭ মে তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়েই আমরা হাইকোর্টের প্রতিবেদন দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনাটি জানিয়েছি। তারা তদন্ত করবে, দোষীদের বের করে শাস্তির আওতায় আনবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটিও তদন্ত করবে।’
ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায় এড়াতে পারে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘যে কেউ তাঁর নিজস্ব মতামত দিতেই পারেন। ওখানে কী হয়েছিল, সেটা তদন্ত ছাড়া বলা মুশকিল। ওই সময় ওখানে যারা উপস্থিত ছিল তারাই বলতে পারবে আসলে কি হয়েছিল।’