বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারন সম্পাদক আকরামুল হাসান আজ এক বিবৃতিতে বাংলা নবর্ষের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগের কতিপয় বখাটের সহায়তায় নারীর শ্লীলতাহানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য বাংলা নববর্ষের দিন টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মী তাদের বহিরাগত বন্ধুদের সাথে নিয়ে অসংখ্য নারীর শ্লীলতাহানি করে। কয়েকজন কে প্রায় বিবস্ত্রও করে ফেলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এমন ন্যাক্করজনক ঘটনায় দেশের মানুষ স্তম্বিত। নেতৃদ্বয় ছাত্রলীগকে ‘ধর্ষকদের সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, নারীর সম্ভ্রমহানি ছাত্রলীগের মজ্জাগত অভ্যাস।
এর আগেও থার্টি ফাস্ট নাইটে তারা টিএসসিতে বাঁধন নামের এক ছাত্রী বোনকে বিবস্ত্র করে সম্ভ্রমহানি করেছিল। মুজিব হলের ছাত্রলীগ নেতার নারীর সম্ভ্রমহানির গোপন ভিডিও ধারন এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিকের ক্যাম্পাসে ধর্ষনের সেঞ্চুরী উৎসব পালন ছাত্রলীগের চারিত্রিক স্খলনের পরিচয় বহন করে।
গতকালই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা নাজমুলকে ছাত্রী উক্তত্য করার দায়ে কেন্দ্র থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিস্কার করা হয় এছাড়াও বাংলা নববর্ষের দিন জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তাকে লাঞ্ছনার অভিযোগ এনে ৫ ছাত্রলীগ নেতার নামে প্রক্টর তপন কুমার শাহরে কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে ইতিহাস থেকে জানা যায় স্বাধীনতার অব্যহতি পরই রক্ষীবাহিনী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধর্যণের উৎসবে মেতেছিল। নেতৃদ্বয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশের সামনেই এ ধরনের ঘটনা এদেশের নারী সমাজের ওপর বড় আঘাত।
অবাক করা ব্যাপার সাধারন ছাত্ররা দুই নিপীড়নকারীকে ধরে পুলিশে দিলেও ছাত্রলীগ পরিচয়ে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। অবৈধ সরকারের পদলেহনকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে নীরব ভুমিকা পালন করে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী, মাদক-ব্যবসায়ী ও ধর্যকদের সেল্টার দেওয়ায় যেন এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রধান কাজ।
‘পুলিশের অস্ত্র পকেটে গুজিয়ে রাখার জন্য নয়’ অবৈধ সরকার প্রধানের এ ধরনের আস্ফালন শুধুই যেন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অথচ বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে দেখলে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় অবৈধ সরকারের নির্দেশেই ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডার, খুনী , মাদক ব্যবসায়ী ও ধর্ষকরা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে পুলিশ প্রসাশনের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকে।
তারা অবিলম্বে এ ধরনের জঘন্য ঘটনার সাথে জড়িতদের খুজে বের করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহবান জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিস্কারের দাবী করেন।অবিলম্বে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার ব্যবস্থা না নিলে ছাত্রদল সাধারন ছাত্রদের সাথে নিয়ে এই ধর্ষকদের প্রতিহত করে এর উপযুক্ত জবাব দিবে।