আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচারণার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর রকমের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে, তারা ২২টি হত্যায় অভিযুক্তদের মামলা প্রত্যাহার করেছে,অন্যদিকে আমাদের প্রার্থীকে জামিনও দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টনে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার একদিকে ২২টি হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্তদের মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অন্যদিকে আমাদের মনোনীত ঢাকা সিটি দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। জাতিকে জানাতে চাই, এটা আমরা ভালভাবে গ্রহণ করছি না।’
এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকনের গণমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এমাজউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘সাঈদ খোকনের বক্তব্যের একটি শব্দ আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়েছে। তিনি(সাঈদ খোকন) বলেছেন, জান বাঁচাতে চাইলে ইলিশ মার্কায় ভোট দিন। এটা একটা হুমকি। এরকম কথা শুনতেও খারাপ লাগে।’ আমরা একটি উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা। নইলে ভোটাররা হতাশ হবে।
দক্ষিনের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস শুক্রবার বিকেলে বংশালে প্রচারণাকালে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন হামলা চালানোর ঘটনার নিন্দাও জানান অধ্যাপক এমাজউদ্দিন।
এসময় সংগঠনটির সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশকে আতঙ্কগ্রস্থ করা হচ্ছে। বিরোধী দলের সমর্থক প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। গতকালও একজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজও ৬ নং ওয়ার্ডে বিরোধী দলের সমর্থিত প্রার্থী লোকজন নিয়ে প্রচারণা চালাতে গেলে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এটা কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনের বার্তা বহন করে না বলেও এ নেতা উল্লেখ করেন।
৩৭/২ পুরানা পল্টনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লা, আব্দুল হাই সিকদার, এম আবদুল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।