ঢাকার উত্তরা এলাকায় আজ রোববার তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা ও বাধার মুখে পড়েন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাধার মুখে তাঁকে উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টর থেকে বিমানবন্দরের দিকে ফিরে আসতে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সন্ধ্যার দিকে উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টরের নর্থ টাওয়ারে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচারণা চালান খালেদা জিয়া। সেখান থেকে বের হয়ে গাড়িবহরসহ তিনি আবদুল্লাপুরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মূল সড়কে নেমে আসেন। তাঁরা খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিএসএফের গাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে সিএসএফের গাড়ি ধরে ঝাঁকানোর চেষ্টা করেন এবং গাড়ি লক্ষ্য করে লাঠি ও কালো পতাকা ছুড়ে মারেন। তাঁদের অবস্থানের মুখে আবদুল্লাপুরের দিকে যেতে না পেরে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর আবার বিমানবন্দরের দিকে চলে যায়।
এর আগে আজ বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে দ্বিতীয় দিনের মতো মাঠে নামেন খালেদা জিয়া। তিনি উত্তরা-১ নম্বর এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচার চালাতে তাঁর গুলশানের বাসা থেকে বের হন। তিনি উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরে পৌঁছালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর গাড়িবহরে যোগ দেন। গাড়িবহর কিছু দূর এগোলে উল্টো দিক থেকে উত্তরা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কালো পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা খালেদা জিয়ার গাড়ি ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, খুনি খালেদা জবাব দে’, ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, পাকিস্তানে ফিরে যা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকা পুলিশ ও তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা খালেদা জিয়ার গাড়ির সঙ্গে এগোতে থাকে। কিছুক্ষণ পর খালেদার গাড়ি মূল সড়কে উঠে দ্রুত বেগে চলে যায়।
পরে বিএনপির চেয়ারপারসন উত্তরা-৩ নম্বর সেক্টরে এসবি প্লাজা ও আমির কমপ্লেক্সে গিয়ে তাবিথের পক্ষে প্রচার চালান। তিনি বিভিন্ন দোকানে ঢুকে দোকানি ও ক্রেতাদের কাছে তাবিথের পক্ষে ভোট চান। বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে আছেন।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে খালেদা জিয়া উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টরে পৌঁছালে সেখানেও কালো পতাকা নিয়ে আগে থেকে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা জয় বাংলাসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। অন্যদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও খালেদার সঙ্গে মিছিল নিয়ে যান।
তবে, দুপক্ষের মধ্যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দুপক্ষের মাঝে পুলিশ ছিল বলে জানা যায়। পরে খালেদা জিয়া উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টরে নর্থ টাওয়ারে ঢোকেন। খালেদা জিয়া যখন নর্থ টাওয়ারে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তখন নর্থ টাওয়ারের উল্টো দিকে আইডিয়াল প্রডাক্টসের নিচে অবস্থান নেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।