আমার হাতে যদি অস্ত্র থাকত, যারা ‘যৌন হেনস্তা’ করেছে, আমি তাদের গুলি করে মেরে দিতাম বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ র্যাব ১১-এর মাদকদ্রব্য ধ্বংস কর্মসূচির অনুষ্ঠানে বর্ষবরণের সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রসঙ্গে এ কথা বলেন শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান বলেন, এটা অবশ্যই আমি বলি। আমার দেশের মা-বোনকে যারা বেইজ্জত করে, এরা রাজাকারের বংশধর ছাড়া কিছু না। তিনি বলেন, ৭১ টিভিতে কাল দেখলাম তাদের ছবিগুলো। মনে হলো একটা সংঘবদ্ধ দল। তারা আজকে পয়লা বৈশাখকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়। এরা আমাদের সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়। তিনি আরো বলেন, আজকে দুঃখ লাগে তখন, যখন দেখি একটা ছেলের ছবিকে মাথায় আলগা চুল লাগিয়ে মেয়ে বানিয়ে দেওয়া হয় এবং ওইটা আবার কিছু পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়া হয়। কষ্ট লাগে তখন, এটার নাম তো সাংবাদিকতা হতে পারে না। আমি একটু অন্য ধাঁচের বক্তব্য দিলাম, কারণ সবাই এক ধাঁচের বক্তব্য দিয়েছে।
শামীম ওসমান বলেন, ডিজি সাহেব বললেন, ম্যাগাজিন খালি করে দেব। আইজি সাহেব বললেন, ছাড় দেওয়া হবে না। কথাটা কয়েকদিন আগে তাঁরা বলেছিলেন। বলার পর আমি দেখলাম, বাংলাদেশে নতুন ক্লাস তৈরি হয়েছে। এটার নাম হলো সুশীল। সুশীল যারা আছেন, এরা আমাকে খুব একটা পছন্দ করেন না। এরা কারা? আইজি সাহেবের ভাষায় হোটেল সোনারগাঁও, শেরাটনে বসে ওনারা কনফারেন্স করে বিদেশ থেকে টাকা আনেন।
তিনি আরও বলেন, তারা এনে দেখান এভাবে এভাবে আমরা সব বন্ধ করে দিচ্ছি। কী যেন একটা ইনকাম সোর্স। এনারা কারা? ওই যে একটা বিদেশি বার্গম্যান না কী আছে? সে যখন যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলে, তখন তার পক্ষে যারা পত্রিকায় বিবৃতি দেয়, এরা কারা? এ বিচার বিভাগ এ কোর্টকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, এরা কারা।
আমি আমার ভাষায় বলি, এরা তারা- এদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষ যখন অভাবে পড়ে জমি বেঁচে খায়, আর এ সমস্ত শ্রেণির মানুষ তারা নিজের স্বার্থে দেশকে বেঁচে খায়। সে সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।