ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদনে ঢাকার উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম- তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই বিএনপিকে অনেকটা এগিয়ে রাখা হয়েছে।
পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো এই ‘গোপন’ প্রতিবেদনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগাম ফলাফলের একটি চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুরকে এগিয়ে রাখা হয়েছে। এই সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাসির উদ্দিন অনেক পিছিয়ে আছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকার দক্ষিণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাঈদ খোকন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হবেন বলেও উল্লেখ করা হয়। তবে তিন সিটির মধ্যে ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনিসুল হক কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।
সোমবার দুপুরে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে এ প্রতিবেদন বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে পাঠানো হয়। এই গোপন বার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নারী নিগ্রহের ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংকে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।
এতে আরো বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় নামায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা এখন অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে গেছেন। প্রতিবেদনে এক হাজার ৯৮২ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ৪৭৪ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা।
এসব কেন্দ্রে গোলযোগ বা সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে পুলিশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে তারা সাধারণ কেন্দ্রের চেয়ে বেশিসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরামর্শ দিয়ে পুলিশ সদর দফতরে প্রতিবেদন দিয়েছে। এসব কেন্দ্রকে পুলিশ বলছে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। আর অতি ঝুঁকিপূর্ণগুলোকে বলছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র হবে এক হাজার ৯৩টি। এর মধ্যে সাধারণ ২০৭টি, ঝুকিঁপূর্ণ ৪৩৩টি এবং অতিঝুকিঁপূর্ণ ৪৫৩টি। ঢাকা দক্ষিণে মোট ভোট কেন্দ্র ৮৮৯। ঝুঁকিপূর্ণ ৩৬১টি এবং অতিঝুঁকিপূর্ণ ২৫৬টি।