ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে মার্কিন সিনেটের অন্যতম প্রভাবশালী সিনেটর জন ম্যাককেইন(অ্যারিজোনা-রিপাবলিকান)এর সাথে বিএনপি চেয়ারপারসনের বৈদেশিক উপদেষ্টা এবং বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদীর এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপর বার কয়েক প্রানঘাতি হামলায় উদ্ভূত ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়েই এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সিনেটর জন ম্যাককেইন মার্কিন সিনেটে সর্বাধিক বার নির্বাচিত অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং মর্যাদাশীল সিনেটর,২০০৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতাকারী রিপাবলিকান ক্যান্ডিডেট,সিনেট আর্মড ফোর্সেস কমিটির দির্ঘকালীন চেয়ারম্যান,সিনেট ফরেন রিলেসনস কমিটির প্রভাবশালী সদস্য।তিনি বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু এং শুভাকাংখীও বটে।
বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রতি প্রবল ভালোবাসা এবং আগহের কারনেই এই জনপ্রিয় সিনেটর বেশ কয়েক বছর পূর্বে বাংলাদেশের একটি অসহায় অনাথ কন্যাশিশুকে দত্তক নেন এবং মেয়েটি এখন তার আপত্য স্নেহে তার কন্য হিসাবেই বেড়ে উঠছে।
বৈঠকে জনাব সাদীর দির্ঘদিনের বন্ধু এবং সুহৃদ সিনেটর জন ম্যাককেইন বাংলাদেশের বর্তমান ভয়াবহ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।বিশেষ করে বাংলাদেশের তিনবারের এবং প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর বারংবার প্রানঘাতি হামলার কথা শুনে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত এবং দুঃখিত হন।
জনাব সাদী এসময় তাকে বলেন,আপনার কন্যার সূত্রে আপনি আমাদের পরম আত্মীয় এবং আমাদের জনগনের এই চরম দুঃসময়ে আপনার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।বাংলাদেশের জনগনের জীবনের কোন নিশ্চয়তা আজ নেই। তিনি সিনেটর ম্যাককেইনকে বলেন,বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের বৃহত্তম দল বিএনপি চেয়ারপারসনের জীবনেরই কোনো নিরাপত্তা যদি না থাকে তবে ,আপনার পূত্র-কন্যা সম সাধারন জনগনের নিরাপত্তা দেবে কে।
সিনেটর মাককেইন এই বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মার্কিন সিনেট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন ফোরামে আলোচনার পর উপযুক্ত এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।তিনি আশা করেন সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে আবার শান্তি ফিরে আসবে এবং জনগনের পছন্দসই প্রকৃত গনতান্ত্রীক দল রাষ্ট্র পরিচালনার সূযোগ পাবে।তিনি বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি তার পূর্ন সহানূভূতি এবং সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
পরিশেষে জনাব সাদী অতি ব্যস্ততার মঝেও জরুরী ভিত্তিতে তাকে সময় দেওয়ার জন্য সিনেটর জন ম্যাককেইনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার ও তার পরিবারের সুস্বাস্থ এবং মঙ্গলময় জীবন কামনা করেন।