ক্যাপ্টেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে ‘মিথ্যার ফুলঝুরি’ তুলে ধরছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিটি নির্বাচনের দুদিন আগে রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের সংবাদ সম্মেলনের দুই ঘণ্টার ব্যবধানে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সাম্প্রতিক ইন্দোনেশিয়া সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হলেও প্রশ্নোত্তর পর্বে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় সিটি নির্বাচনও উঠে আসে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে নাশকতায় মানুষ হত্যার ঘটনাগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে মানুষ যেভাবে পোড়াল, যে জঘন্য কাজ বিশ্বে কোথাও কি কেউ দেখেছে। “উনি যে মানুষকে পোড়ালেন তিনি আবার মানুষের কাছে ভোট চান কিভাবে? কোন মুখে ভোট চান? লজ্জাও তো লাগে।” খালেদা জিয়া নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার চালালেও তা গণমাধ্যমে আসেনি বলে সমালোচনাও করেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার ছবি সংবাদ মাধ্যমে এলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তাকর্মীদের গাড়ির নিচে চাপা পড়া এক তরুণের ছবি সংবাদ সম্মেলনে দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ছবি তো আপনারা দেখাননি।” তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জনতার রুদ্ররোষেই পড়েছিলেন।
খালেদার জিয়া রাজনৈতিক সমঝোতা চাওয়ার যে কথা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বলেন, “নির্বাচনের আগে আমি ফোন করেছিলাম, উনি ছয় ঘণ্টা পর ফোন ধরলেন, উনার যে কথা, আমার এই জীবনে এই রকম মুখ ঝামটা, ঝাড়ি আর খাইনি। “উনার ছেলে মারা গেল, আমি গেলাম সহানুভূতি জানাতে। আমি গেলাম, আমি নামতে পারলাম না, উনার গেটে তালা। আমাকে ঢুকতে দিল না, ভেতরে অনেক লোকজন ছিল, একটুকু ভদ্রতাও তো দেখায়নি।” “সবচেয়ে বড় কথা, খালেদা জিয়ার কথা কে বিশ্বাস করবে,” সমঝোতার সম্ভাবনা নাকচ করেন শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “তিনি মিথ্যার ফুলঝুরি দিয়ে গেছেন।” যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের ভুয়া বিবৃতি এবং ভারতের বিজেপি প্রধান অমিত শাহের ফোনালাপের প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, “উনার মিথ্যাচারের কথা কী বলব! “দেশের ভেতরে তো মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন, বিদেশিদেরও ছাড় দেননি। মিথ্যা কথা উনি চমৎকারভাবেই বলতে পারেন।”
ভোটারদের অর্থ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে খালেদার বক্তব্যের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “উনি অর্থ নেওয়াটা ভালো বোঝেন। ক্ষমতায় থাকতে অর্থ নিয়ে গেছেন। অর্থ নেওয়া, বেঈমানি করাটা উনার স্বভাব।”
ছবি দেখুনঃ