ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে টেলিফোন বার্তায় বলেছিলেন, " আওয়মী লীগ মুখোমুখি হুমকি দিচ্ছে, ১০ টার মধ্যে আমাদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিবে, ১২ টার মধ্যে রেজাল্ট ঘোষণা করবে"।দুঃখজনক হলেও ঠিক সেই পরিকল্পনারই নির্মম বাস্তবায়ন করলো অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের আজ্ঞাবহ ইসি এবং পেটোয়া বাহিনীর সহযোগিতায়।
সেই টেলিফোন বার্তায় বরেন্য রাজনীতিবীদ এবং ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস বলেছিলেন , "দেশের মানুষ জানে, যে সরকার আমাকে বাধা দিচ্ছে যাতে আমি নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ না করতে পারি। আজকে আমাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে, একদিকে এই মহানগরী কে আমি ভালোবাসি অন্যদিকে যদি আমি বলি, এই সরকারকে শুধু মাত্র বুঝিয়ে দেয়া, যে জনগন বিএনপির পক্ষে আছে। জনগন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আছে। জনগন তারেক রহমানের পক্ষে আছে। এবং জনগন চায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত থাকুক। জনগন চায় লিডার হিসেবে তারেক রহমান দেশে ফিরে আসুক। এই নির্বাচনটা ও আন্দোলনের একটা অংশ।"
তিনি আরো বলেন, "আফরোজা আব্বাস যেখানেই যাচ্ছে সেখানে জনতার ঢল নামছে। আমাদের কর্মী ছাড়াও সাধারণ জনগণ তার পাশে থাকছে। এবং এই কারণে সরকার অনেকটা ভীত। সিভিল ড্রেসে পুলিশ, আর্মস, গাড়ী ভর্তি পুলিশ উইথ আর্মস, উদ্দেশ্য হল ভীতির সৃষ্টি করা। গতকাল আমাদের একজন কর্মী কে গ্রেপ্তার করেছে। আজকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আজকে ঢাকা শহরে কয়েকটি এলাকায় ব্লক রেইড দিয়ে বহু কর্মীদের বাড়ি তছনছ করেছে। অবশ্য বাসায় পায়নি তাদের কে। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে তছনছ করেছে।"
মির্জা আব্বাস বলেন, "এবং মনে হচ্ছে এটা একটা পুলিশি রাজত্ব, গণতান্ত্রিক দেশ নয়। তারা একটা প্ল্যানিং তৈরি করে রাখছে। মুখোমুখি হুমকি দিচ্ছে, আমরা ১০ টার মধ্যে পোলিং এজেন্ট বের করে দিবো, ১২ টার মধ্যে ডিক্লিয়ার হয়ে যাবে আমাদের সমস্থ রেজাল্ট। এমন ঘোষণা তারা দিচ্ছে, তবে আমাদের ইনশাআল্লাহ্ সাহসী কর্মীদের অভাব নেই। আমাদের কর্মীরা যথেস্ট সক্রিয়, ভোট কেন্দ্রকে সংরক্ষণ করার জন্য। আওয়ামীলীগের অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ এখন এই মুহূর্তে।"
মির্জা আব্বসের এই টেলিফোন বার্তাটি আবার শুনুন আর ভাবুন এই ফ্যাসিস্ত আওয়ামী লীগের কাছে দেশের জনসাধারন কতোটা অসহায় এবং অপ্রয়োজনীয়ঃ