DMCA.com Protection Status
title=""

সিটি নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপিঃওয়েন্ডি শারম্যান কে বললেন বেগম খালেদা জিয়া

shermanক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ   ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচনে ব্যপক কারচুপির এবং অনিয়মের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যানের কাছে তুলে ধরেছেন খালেদা জিয়া।

 শুক্রবার ঢাকা ছাড়ার আগে বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় বৈঠককালে এই বিষয়টি তুলেন তিনি।

বিকাল ৪টা ২৭ মিনিটে গুলশানের ৭৯ নং সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসা ‘ফিরোজা‘য় তাকে বহনকারী যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাবাহী বিএমব্লিউ গাড়িটি প্রবেশ করে। বিকাল সাড়ে ৫ টা ৭ িমিনিট বাসা থেকে বেরিয়ে যায় গাড়িটি।


বৈঠকের পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান অপেক্ষামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারির আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় দেশের রাজনৈতিক-অর্থণৈতিক-সামাজিক পরিস্থিতি কোনো কিছুই বাদ যায়নি।’’

বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকারের দমননীতি, স্থানীয় সরকারের সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে
সরকার-নির্বাচন কমিশন-শাসকদলের যৌথ উদ্যোগে ভোট কারচুপি, বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের ওপর সরকারের নিপীড়ন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বরখাস্ত করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়াবলীর ওপর তথ্য প্রমানাদিও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারির কাছে উপস্থাপন করা হয়।


বৈঠকে বিএনপির আবদুল মঈন খান ছাড়াও সাবেক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, যুক্তরাজ্যের সাবেক হাইকমিশনার সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ষ্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।

অংশীদারিত্ব সংলাপে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণাণয়ে এই শীর্ষ কর্মকর্তা ঢাকায় আসেন।দুইদিনিরে সফর শেষ করে সন্ধ্যায় তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ ওয়েন্ডি শারম্যান এমন এক সময়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন, সেই সময়টি বাংলাদেশের রাজনীতি গতিধারার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনটি সিটি নির্বাচন হয়ে গেছে। গণমাধ্যমে সব কিছু জানিয়ে দিয়েছে, ওই নির্বাচনের রহস্য কারো অজানা নয়। বেগম জিয়ার সঙ্গে শারম্যানের এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে।’’


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পক্ষ থেকে বৈঠকে ওই নির্বাচন নিয়ে কী বলা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ তারা ( ওয়েন্ডি শারম্যান) কি বলেছেন, তা তারা বলবেন। যা দূতাবাস থেকে স্ট্রেটম্যান আকারে দিয়ে থাকে। আমরা এ বিষয়ে কিছু বলছি না। সিটি নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার উদ্বেগ বিবৃতিকারে জানিয়েছে।’’

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সম্প্রসারণের জন্য ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর এই অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওয়েন্ডি বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের আগে গুলশানে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!