DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

হঠাৎ মূল্যস্ফীতির জন্য ১লা বৈশাখ দায়ীঃ পরিকল্পনা মন্ত্রী লোটাস কামাল

lotasএপ্রিল শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ( মাসিক ভিত্তিতে) শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩২ শতাংশে। যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উৎসবের কারণেই এই মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পণামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এসময় এ কথা বলেন।

 

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, সার্বিক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি বেড়েছে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি। এপ্রিল শেষে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে কমেছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি। এটি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে। যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।

 

পরিকল্পনা মন্ত্রী মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে ইলিশ মাছ ও নতুন জামাকাপড়ের অনেক বেশি চাহিদা ছিল। যে কারণে পণ্যগুলোর দামও অনেক বেড়ে গিয়েছিল। এটাই এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি বাড়ার মূল কারণ।’

 

তবে বছর শেষে সাবির্ক মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ এর মধ্যেই থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। এছাড়া তেল ও যেসব পণ্য আমদানি করা হয় সেগুলো আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল থাকার ফলে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে বলেও জানান তিনি।

 

এদিকে গ্রামেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। পয়েন্ট টু পয়েন্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যেস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। অপরদিকে শহরে সার্বিক মূল্যেস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

 

খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যেস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। উল্লেখ্য, মূল্যস্ফীতি পরিমাপের যে ঝুড়ি রয়েছে তাতে ৬০ শতাংশ পণ্যই খাদ্যপণ্য। এ কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি একটু বেশি উঠানামা করে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!