ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ শপথ নিলেন বিতর্কিত নির্বাচনে নির্বাচিত ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক, দক্ষিণের সাঈদ খোকন ও চট্টগ্রাম সিটির নবনির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছিরকে সকাল ১০টা ৩১ মিনিটে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে ১০টা ২৮ মিনিটে তিন সিটির নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
গত ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নজীরবিহীন ভোট কারচুপি এবং অনিয়মের ভোট অনুষ্ঠিত হয়।প্রচন্ড বিরুপ অবস্থার মধ্যে বিএনপি ৩ সিটি থেকে তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নির্বাচন বর্জন করে দুপুর ১২টার আগে।বিএনপি ছাড়াও অন্য প্রায় সকল দল সমর্থিত প্রার্থীরাও অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করে নতুন নির্বাচন দাবী করলেও,নির্বাচন কমিশন তাদের অভিযোগে কর্নপাত করেনি। ফলে তিন সিটিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।।
ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে ২ লাখ ৪১ হাজার ৫ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন সাঈদ খোকন। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিতপ্রার্থী মির্জা আব্বাস পেয়েছেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৯১ ভোট।
ঢাকা উত্তরে সেনাবাহিনীর সিজিএস লেঃ জেনারেল বেলাল(পরবর্তি সেনা প্রধান)এর বড় ভাই আনিসুল হক ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি পেয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ১১৭ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিতপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮০ ভোট।
অপরদিকে চিন্হিত শির্ষ সন্ত্রাসী এবং সাবেক ছা্ত্রলীগ নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত সদ্য সাবেক মেয়র পরিচ্ছন্ন ইমেজের অধিকারী এম মনজুর আলম পেয়েছেন ৩ লাখ ৪ হাজার ৮৩৭ ভোট।
উল্লেখ্য ৩ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের হার রীতিমতো অবিশ্বাস্য হলেও তাই সঠিক বলে দাবী করছে নির্বাচন কমিশন এবং সরকার।ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করলে আসল গোমর ফাঁস হবে বলে সকলে মনে করেন।