স্থলসীমান্ত চুক্তিতে বারবার আপত্তির পর অবশেষে সমর্থন করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এ কারণেই এই চুক্তি বাস্তবায়নের পথে অন্যতম বাধাটিও দূর হয়ে গেল। এর জন্য সংবিধান সংশোধনের যে প্রয়োজনীয়তা ছিল তা ভারতের মন্ত্রিসভা, রাজ্যসভা ও লোকসভায় পাস হতে লাগলো মাত্র তিন দিন!
আর এর বিনিময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেলেন বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বিশাল অংকের ‘পুরস্কার’! পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্র সরকার তিন হাজার কোটি রুপির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করায় এমন কথাই বলছে সবাই। বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাস হয় স্থলসীমান্ত বিল। আর এদিনই এই বরাদ্দ পেলেন মমতা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন রাজ্য সফরের মধ্যে আগামী শনিবার রাজভবনে তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। তার দু’দিন আগেই বৃহস্পতিবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা দিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
এদিন ১১৯তম সংবিধান সংশোধনী বিলটি পেশ করার সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুষমা জানান, এর মাধ্যমে ১৯৭৪ সালের ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকর হবে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের সমস্যা চিরতরে নিরসন হবে। একইসঙ্গে, প্রতিবেশি রাষ্ট্রকে এই বার্তাও দেয়া হবে যে, সীমান্ত ভাগাভাগির বিষয়ে ভারতের সব রাজনৈতিক দলই সহমত পোষণ করে।
সুষমা আরো বলেন, স্থলসীমান্ত চুক্তি নির্ধারিত হলে অধুনা বাংলাদেশের বহু মানুষ এদেশের নাগরিক হবেন। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মানুষগুলোর পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক প্যাকেজ চেয়েছিলেন। সেইমতো, পশ্চিমবঙ্গকে ৩ হাজার ৮ কোটি টাকা দেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানিয়েছিলেন, তিনি স্থলসীমান্ত চুক্তিকে সমর্থন করেন। সেইসঙ্গে ছিটমহলের যে অংশ এবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হবে, সেই অঞ্চলের আনুমানিক ৬০-৭০ হাজার মানুষের পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক প্যাকেজের দাবিও জানান।
এদিন সুষমা জানান, তাদের মতে আনুমানিক ৩৫ হাজার মানুষ পশ্চিমবঙ্গে আসবেন। তা মাথায় রেখে ৩ হাজার ৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।