ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মাদকের কড়ালগ্রাসে বিপর্যস্ত দেশ। মরণ নেশা ইয়াবা, মদ, গাঁজা, হেরোইন, নেশাজাতীয় ইনজেকশন, বিয়ারে মগ্ন তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে।
মাদকের ভয়বতা থেকে বাঁচতে সামাজিকভাবে যতই আন্দোলন, সচেতনতা গড়ে উঠুক না কেন, পারিবারিকভাবে এর প্রতিকারটি খুবই জরুরি বলে মনে করেন সমাজ গবেষকরা।
তবে মাদকের কড়াল ছোবল কিছুটা কমাতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সারা দেশে অভিযান চালিয়ে গত এপ্রিল মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৬০ কোটি ৭৭ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৬৬ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদক দ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
বিজিবি সূত্র আরো জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে অভ্যন্তরীণ চোরাচালানের আর্থিক মূল্য ৪৫ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার ৫৪৫ টাকা এবং বহির্মূখী চোরাচালানের আর্থিক মূল্য ১৫ কোটি ১২ লাখ ১৭ হাজার ৪২১ টাকা।
বিজিবির অভিযানে উল্লেখযোগ্য আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫৫,০৮৮ বোতল ফেনসিডিল, ৫,৩৪,৯০৪ টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২,৪৮১টি উত্তেজক ট্যাবলেট, ২২,২৮৫ বোতল বিদেশী মদ, ৫১৫ লিটার স্থানীয় মদ, ৬,৫৩৯ ক্যান বিয়ার, ৯৯৫ কেজি গাঁজা, ১১০ গ্রাম হেরোইন, ৫,৮৮৬টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং ১২,৪৮,৩০৪টি বিভিন্ন প্রকারের ট্যাবলেট । গত ১ মাসে বিজিবির অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৮ টি পিস্তল, ২টি বন্দুক, ২টি রিভলভার, ৬টি ম্যাগাজিন এবং ৩৪ রাউন্ড গুলি ।
এপ্রিল মাসে বিজিবির অভিযানে চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২৯ জনকে আটক করে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ এবং ২৬৫২ টি চোরাচালান মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের সময় ১৫৮ জন বাংলাদেশীকে আটক করে থানায় সোপর্দ, ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করে ১০ জনকে স্বদেশে ফেরত এবং ০৩ জনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গত মাসে সীমান্ত পথে ৮৪৪ জন মায়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে। এছাড়া উল্লেখিত সময়ে ৬০ জন নারী-শিশুকে পাচারকালে উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে ৪৩ জন নারী ও ১৭ জন শিশু রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত ১১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।