ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দুই মাস আগে আমাকে ঢাকার উত্তরা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ভারতের মেঘালয়ে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার গ্রেপ্তারের পর সালাহ উদ্দিনকে স্থানীয় একটি মানসিক হাসপাতালে পাঠায় মেঘালয় পুলিশ। চিকিৎসকরা মানসিক কোনো সমস্যা না থাকার কথা জানালে তাকে অন্য একটি সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারের পর মেঘালয় পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারলেও হাসপাতাল স্থানান্তরের সময় সালাহ উদ্দিন নিজেই দেশের অন্যতম সেরা একটি অনলাইন নিউজপোর্টাল (বিডিনিউজকে) বলেন, “হ্যাঁ, আমিই বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন। আমাকে উত্তরা থেকে অচেনা লোকজন তুলে নিয়েছিল। আমি জানি না, কিভাবে এখানে এলাম।”
‘অপহরণের’ পর আর কিছুই মনে করতে পারছেন না বলে জানান ৫৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিক।
শিলংয়ের সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ এইচ খারখারান সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে বলেন, ‘তিনি (সালাহ উদ্দিন) কীভাবে পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলেন, আমরা এখনো তা খতিয়ে দেখছি। তিনি (সালাহ উদ্দিন) দাবি করেছেন, তিনি কিছুই জানেন না। তবে বলেছেন, দুই মাস আগে ঢাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।’
এর আগে দুই মাসের বেশি সময় নিখোঁজ থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ আগে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুরে গুলাশনে নিজের বাসায় হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সালাহ উদ্দিন ভারতের শিলংয়ের মিমহানস মেন্টাল হসপিটালে আছেন। সেখান থেকেই দুপুরে ঢাকায় ফোন করেন তিনি।হাসিনা আহমে অতি সত্বর ভারতে যেতে চান এবং এর জন্য সরকার সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।