ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গাড়িতে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে যাত্রী হত্যার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্টদের মতে বিএনপিকে নেতৃত্ব শুন্য করে নিজেদের ক্ষমতা দির্ঘায়িত করতেই এক ঘৃন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকার এসব করছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল ইসলাম এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য অভিযুক্তরা হলেন— বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৩৮ জন।
এর আগে গত ৬ মে একই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় পৃথক আরো দু’টি চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের অপর এসআই বশির আহমেদ। খালেদা জিয়াকে চার্জশিটে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ৮১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামক এক বৃদ্ধ যাত্রী।
এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি এবং বিএনপির ১৮ নেতার নাম উল্লেখ করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন থানার উপ-পরিদর্শক কে এম নুরুজ্জামান। আসামিদের মধ্যে বর্তমানে ৭ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। এদের মধ্যে সোহাগ ও লিটন নামে দু’জন গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। খালেদা জিয়াসহ বাকি ৩১ জনকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।