অবশেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার দুপুরের দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
গত বৃহস্পতিবারই তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষ না হওয়ায় কাল তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। পুলিশের দায়ের করা রাজধানীর চকবাজার ও শাহবাগ থানার দুটি মামলায় ৬ মে হাইকোর্ট তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এ দুটি মামলায় কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
এই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। চেম্বার বিচারপতির আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির। শমসের মুবিনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মাসুদ রানা। জামিন আদেশের ১৬ দিন পর তিনি মুক্তি পান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুটি দুর্নীতির মামলায় ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বকশিবাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সরকারদলীয় এমপি ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলা ও গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
এ ঘটনায় চকবাজার ও শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। এ দুটি মামলাতে শমসের মুবিন চৌধুরীকে আসামি করা হয়। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি তাকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।