রাজধানীতে মাইক্রোবাসে তুলে এক গারো তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের অহেতুক বিলম্ব কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, অবহেলার জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং ধর্ষিতকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল নিশি জারি করেছেন হাইকোর্ট।
চার মানবাধিকার সংগঠনের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ সোমবার এই তিনটি রুল জারি করে। এ ছাড়া থানায় ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ ও জন্ম পরিচয় নির্বিশেষে বৈষ্যমহীনভাবে সবার সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে একটি সার্কুলার জারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
যৌন হয়রানি ও যৌন সহিংসতারোধে বিদ্যমান আইন ও প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, আইনজীবী ও নারী অধিকারকর্মীদের নিয়ে একটি কমিটি করতে রিটকারীদের কাছে নামের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট।
আগামী ৩১ মের মধ্যে এই তালিকা আদালতে দিতে বলা হয়েছে রিটকারী চার সংগঠনকে। নারীপক্ষ, মহিলা পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, আইন ও সালিস কেন্দ্র এবং ব্লাস্ট রবিবার এই রিট আবেদন করলে সোমবার তার ওপর শুনানি হয়। রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন জেড আই খান পান্না ও মেহবুবা জুঁই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান।