ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃএকবার মাথা গলিয়ে পরে ফেলতে পারলেই কেল্লাফতে। একেবারে গায়েব হয়ে যাবেন পরিধানকারী।
মিস্টার এক্স বা মিস্টার ইন্ডিয়া সিনেমার প্লট নয়। বাস্তবে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া যাবে এমন পোশাক বানানোর কাজ শুরু করছে মার্কিন সেনাবাহিনী।
পোশাকটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার ১৮ মাসের মধ্যে শুরু করার কথা জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। ক্যামেলিয়ন নামের এক প্রজাতির গিরগিটি পরিপার্শ্বিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত গায়ের রঙ বদলে ফেলে আত্মগোপন করতে পারে।
সেই নিয়ম মেনেই তৈরি হচ্ছে এই পোশাক। চারপাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত, প্রায় চোখের নিমেষে রঙ ও নকশা বদলে ফেলবে এই পোশাক।
কাজ করবে ক্যামোফ্লেজের। ফলে পোশাকধারী ব্যক্তিকে পরিপার্শ্বিকতা থেকে আর আলাদা ভাবে শনাক্ত করার কোনো উপায়ই থাকবে না। নানা পরিপার্শ্বিকতায় যেন কাজ করতে পারে এবং রঙ ও নকশা পরিবর্তনের কাজে শক্তি বা বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রয়োজন যেন না হয়- এই পোশাক নির্মাণের সময় সে দিকে গুরুত্বা দিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
মার্কিন সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, এমন পোশাক নির্মাণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কয়েকটি সংস্থাকে। তাদের নাম-ধাম গোপন রাখা হয়েছে। আগামী এক বছর মেয়াদের মধ্যে ১০টি করে পরীক্ষামূলক ইউনিফর্ম মার্কিন সেনাবাহিনীকে সরবরাহ করতে হবে।
রোদ, বৃষ্টি, তুষারপাতসহ সব ধরণের আবহাওয়ায় ব্যবহার উপযোগী হতে হবে এই পোশাক। এ ছাড়া, এতে সেনাদের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের যেন বিঘ্ন না ঘটে তাও নিশ্চিত করতে হবে। পোশাকের রঙ ও নকশা পরিবর্তনের জন্য যদি বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দেওয়া তবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ব্যবস্থার ওজন .৪৫ কিলোগ্রামের বেশি হতে পারবে না।
অন্তত ৮ ঘণ্টা এই উৎস থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার বিষয়টিও নির্মাতাকে নিশ্চিত করতে হবে। অদৃশ্য পোশাক নিয়ে নানা কথা শোনা গেলেও মনে করা হচ্ছে ‘মেটা-মেটেরিয়েল’-এর তৈরি পোশাকই হয়ত শেষ পর্যন্ত বাজিমাৎ করবে।
আলোর গতিপথ বদলে মেটা-মেটিরিয়েল অদৃশ্য করে দিতে পারে পোশাকধারীকে। এ নিয়ে নানা গবেষণা এখনও চলছে। অবশ্য এ পোশাক এখনো পুরোপুরি অদৃশ্য করার সক্ষমতা অর্জন করেনি।