DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

কুমিল্লা বিভাগ হলোনাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে দারুন হতাশ কুমিল্লাবাসী

pmcomillaক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভবিষ্যতে আরও কিছু বিভাগ হবে, কুমিল্লা বিভাগও হবে ভবিষ্যতে, তবে তার জন্য সু-কর্ম করতে হবে।’আজ কুমিল্লায়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যে অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন কুমিল্লাবাসী।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কুমিল্লা শহরের টাউল হলে আয়োজিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

অথচ প্রধানমন্ত্রীর আগমনে আশায় বুক বেধেঁছিলেন কুমিল্লাবাসী। ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী যখন কুমিল্লায় এসেছিলেন তখনও কুমিল্লাবাসী ভেবেছিলেন কুমিল্লার প্রাণের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। তবে তখন প্রধানমন্ত্রী বিভাগের বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এরপর কুমিল্লাকে বিভাগ করার বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন তিনি। সবাই ভেবেছিলেন এবারের নজরুল জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করবেন। নজরুল জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী আসলেন ঠিকই কিন্তু বিভাগের বদলে দিয়ে গেলেন হতাশা।

উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘কুমিল্লা বিভাগ হবে ভবিষ্যতে। তবে তার জন্য সু-কর্ম করতে হবে। যদি কুমিল্লাকে বিভাগ চান তাহলে কু-কর্ম করবেন না। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’তে এই সু-কর্ম আর কু-কর্ম কি তার ব্যাখা প্রধানমন্ত্রী না দিলেও এতে তিনি আওয়ামী লীগকে সমর্থন করাকেই সু-কর্ম বলে বুঝিয়েছেন বলে উপস্থিত কুমিল্লা বাসীরা মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কবি নজরুল বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার লেখা অসাধারণ। তার লেখা গান কবিতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নজরুলের ঘনিষ্ঠতার কথা তিনি তার আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতাম সেটি কবি নজরুলের একটি কবিতা থেকে বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘১৯২১-২৪ সাল পর্যন্ত নজরুল কুমিল্লায় এসেছেন বার বার। তিনি তার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখা এখানে থেকে লিখেছেন। তার লেখায় ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষের বৈষম্যের কথা উঠে এসেছে। তার লেখার মাধ্যমে এদেশের সর্বস্তরের মানুষ অর্থাৎ, কুলি, হরিজন, সাধারণ মানুষ, শ্রমিক, কৃষক কেউ বাদ যায়নি।’

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ভাষা সৈনিক রফিকুল ইসলাম মঞ্চে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কুমিল্লা বিবির বাজার স্থলবন্দর, কুমিল্লা ইপিজেডের তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার, চৌদ্দগ্রাম জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্মিত হোস্টেল ও বুড়িচং উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং ও রিসার্চ সেন্টার, লাকসাম উপজেলা মৎস্য ভবন কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কমিল্লা প্রেসক্লাবের স্থাপিত ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যের ম্যুরাল, মেঘনা উপজেলার পাড়াবন্দ নদীর ওপর নির্মিত সেতু এবং নবনির্মিত চৌদ্দগ্রাম থানা ভবন। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৩ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।

এছাড়া তিনি কুমিল্লা মহানগরী শাসনগাছায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প, বুড়িচং উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন প্রকল্প, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর আধুনিকায়ন ও কুমিল্লা জেলা কার্যালয় ভবন, বিএসটিআইয়ের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়, প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী সচীন দেব বর্মণ কালচারাল কমপ্লেক্স, অটিস্টিক শিশুদের জন্য নির্মিতব্য হিউম্যান কনসান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং বঙ্গবন্ধু ‘ল’ কলেজ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!