ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দেশের অধিকাংশ জনগনের ধর্মীয় অনুভূতিতে প্রচন্ড আঘাতের সাতটি মামলায় জামিন পেলেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।তবে সংখ্যাগরিষ্ট জনগনের অনুভূতিতে আঘাতকারীকে এভাবে দীর্ঘকালীন জামিন এবং মামলা গুলোর কার্যক্রম স্তগিত করার নির্দেশ অভূতপূর্ব এবং এতে আইনের শাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে সকলে মনে করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তাকে ৬ মাসের অন্তবর্তীকালীন এই জামিন দেন। এর আগে আদালতে জামিনের আবেদন করেন লতিফ সিদ্দিকী। একই সঙ্গে স্থায়ী জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিতও আদেশ দিয়েছে আদালত।
২০১৪ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে টাঙ্গাইল সমিতির মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরবিরোধী। হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরব গেছে। তাদের কোন কাম নাই। তাদের কোন প্রোডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন করতেছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা নিয়ে ওখানে দিয়ে আসছে। এ্যাভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায়, প্রত্যেকের ৫ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়।
মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.) সম্পর্কে তিনি বলেন, আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ চিন্তা করল এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে। তারা তো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করল যে, তার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে এবং এর মধ্য দিয়ে একটা আয়ের ব্যবস্থা হবে।
লতিফ সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কেও কটূক্তি করেন। তার এ বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় ঢাকার আদালতে বিভিন্ন ব্যক্তি এ মামলাগুলো দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়। ওই বছরের ২৩শে নভেম্বর রোববার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ভারত থেকে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। ২৬ শে নভেম্বর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করার পর লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানো হয়।