আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৌশলগত দিক থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ ভবিষ্যতে নিজেরাই যুদ্ধ বিমান তৈরী করবে।
। বুধবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার এ এক অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যয়ের কথা জানান। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে এল-৪১০ পরিবহন প্রশিক্ষণ বিমান অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণ ও এই বাহিনীর উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। উন্নয়নের এ ধারা সবসময়ই অব্যাহত থাকবে।’
‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা বিমান বাহিনীকে আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৌশলগত দিক থেকে একটি সুদৃঢ়, শক্তিশালী ও কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো,’ বলেন তিনি।
নতুন বিমান সংযুক্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আজ বিমান বাহিনী বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে ৩টি এল-৪১০ পরিবহন প্রশিক্ষণ বিমান। এর আগে পরিবহন বৈমানিকরা পিটি-৬ বিমানে উড্ডয়ন সম্পন্ন করে টি-৩৭ বিমানে উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতেন। এরপর পরিবহন বিমানে প্রশিক্ষণ নিতেন, যা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এল-৪১০ অন্তর্ভুক্তির ফলে এ ব্যয় কমে যাবে।’ ‘পরিবহন বিমানের বৈমানিকরা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বিমান বাহিনীর মতো পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। অবতরণের ক্ষেত্রে এই বিমানে অধিক সুবিধা থাকায় অত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।
এই বিমান অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা, টহল, আকাশপথে জরিপ ও প্যারা ট্রুপিং পরিচালনার পাশাপাশি বাহিনীর সার্বিক পরিবহন সামর্থ্যকে বিশ্বমানে পৌঁছে দিবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।