DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

শহীদ জিয়াকে ভালোবাসলে তাঁর মতো হয়ে উঠতে হবে এবং দেশ ও দলকে ভালোবাসতে হবেঃ বি. চৌধুরী .

zia2ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শহীদ জিয়া ছিলেন এদেশের রাখাল রাজা। তিনি ঘরে বসে বক্তব্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেননি, যুদ্ধ করেই দেশ স্বাধীন করেছিলেন। আমাদের দলকে ভালোবাসতে হবে, দুই দিনের জন্য জিয়াকে স্মরণ করা আত্মহত্যার শামিল , প্রত্যেককে জিয়াউর রহমানের মতো হয়ে উঠতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি ভুল করেন তাহলে ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন শহীদ জিয়ার দির্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচর ,বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ,বর্তমানে বিকল্পধারার সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

 

বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টায় রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। এতে দর্শকের আসনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান সভাপতিত্ব করেন।

 

bchyসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিকল্পধারার সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে আগে নিজেদের পরিবর্তন হতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেককে জিয়াউর রহমানের মতো হয়ে উঠতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি ভুল করেন তাহলে ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করবেন না। জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গে আর কেউ থাকুক আর না থাকুক আমি জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গে আছি এবং থাকবো।

 


তিনি আরো বলেন, জিয়া ছিলেন এদেশের রাখাল রাজা। তিনি ঘরে বসে বক্তব্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেননি। যুদ্ধ করেই দেশ স্বাধীন করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আমাদের অপরাধ হল আমরা তার কাজকর্মকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারিনি। এতে জিয়ার কেনোরকম কোনো ক্ষতি হয়নি ক্ষতি হয়েছে আমাদের। এসময় তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দুই দিনের জন্য জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করা ভুল ও আত্মহত্যার শামিল। দলকে ভালোবাসতে হবে।

আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। এই মুহূর্তে সবার দায়িত্ব হলো- দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে দেশে জঙ্গিবাদ ও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সামনে গিয়ে আপনারা তেল মারবেন না। মাঠে ময়দানে কাজ না করে খালেদা জিয়ার সামনে গিয়ে আপনারা তেল মারেন; এ জন্যই বিএনপির এই দুর্দশা।’

বিএনপিতে এক ব্যক্তিকে একাধিক পদ না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন নেতাকে একটা পদ দিতে হবে। এক ব্যক্তি একের অধিক পদধারী থাকতে পারবে না। মহিলা দলকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।’

ছাত্রদল নেতাকর্মীদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এ সংগঠক বলেন, ‘না হয় তোমাদের ইঁদুরের গর্তে চলে যেতে হবে অথবা নৌকায় করে বঙ্গপোসাগরে গিয়ে না খেয়ে ভেসে মরতে হবে। এর বিকল্প নেই।’

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপি আবার পুনর্গঠন করতে হবে। হিটলারের পতন ঘটেছে, শেখ হাসিনারও পতন ঘটবে। তার পতন ঘটানোর জন্য দল পুনর্গঠন করে শক্তিশালী করতে হবে।’

সভায় বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক অধ্যাপক  জিন্নাতুন্নেছা তাহমিনা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, কবি এরশাদ মজুমদার প্রমুখ।

এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল মান্নান, শওকত মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহাজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাববিবুর রহমান হাবীব, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ খান খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাত, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র মনির হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নিবার্হী কমিটির সদস্য রেহেনা আক্তার রানু, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, নিলুফার চৌধূরী মনি, হেলেন জেরিন খান, শাম্মি আক্তার, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসানসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

২০ দলীয় জোটের মধ্যে কল্যাণ পার্টির সভাপতি মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ডেমোক্রেটিক লীগ-এর সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান,  জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মহিউদ্দীন আকরাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ উপস্থিত রয়েছেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!