DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

মোদীর আসন্ন ঢাকা সফরঃ চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের পূর্ন অনুমতি পেতে যাচ্ছে ভারত

ctgport

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের পূর্ন অনুমতি পেতে যাচ্ছে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরে এই সংক্রান্ত সম্মতিপত্র স্বাক্ষর হতে পারে। তবে বাংলাদেশও অনুরুপ ভাবে কোলকাতা বন্দর সহ অন্যান্য ভারতীয় বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পাবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।

 

এছাড়া চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ তৈরিতে প্রকল্পও হাতে নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ কানেকটিভিটির বিষয়কে বিশেষভাবে জোর দিয়ে আসছে। ভারতকে এ অনুমতি দিলে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করবে। যা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে বলে শেখ হাসিনা সরকার মনে করে।

 

পররাষ্ট্র ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, রোববার এব্যাপারে নৌ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ নিয়ে আরো আলোচনা হবে। জানা গেছে, এই চুক্তির বাস্তবায়ন হলে সেভেন সিস্টার্স খ্যাত ভারতের সাতটি রাজ্যই চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সরাসরি আমদানি-রফতানির সুবিধা নিতে পারবে।

 

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ত্রিপুরার সাবব্রুম পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগের জন্য প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে ফেনী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। রেল সংযোগ হচ্ছে আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত। এই রেলপথে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হবে। এ সুবিধা শুধু ত্রিপুরাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

 

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আখাউড়া-সিলেট হয়ে করিমগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে সরাসরি মেঘালয়ে যেতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথটিকে পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের মোট ব্যয়ের সিংহভাগ ঋণ হিসেবে ভারত দেবে বলে জানা গেছে। খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যার ফলে মংলা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি মংলা থেকে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ যাওয়ার পথ তৈরি হবে।

 

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তিস্তা চুক্তির সঙ্গে থেমে যায় আরও একটি চুক্তি। সেটি হলো চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারে অনুমতি বিষয়ক সম্মতিপত্র। ওই সফরে এ দুটি বন্দর ব্যবহারে বাংলাদেশকে রাজি করাতে না পারলেও এবার সে অনুমতি পাচ্ছে প্রতিবেশি দেশটি।

 

২০১০ সালের দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হন। সে সফরেই তিনি ভারতের ভূখন্ড ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার আগ্রহের কথা ভারতকে জানান। সে অনুযায়ী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সম্মতিপত্র স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাঁধ সাধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!