ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শাহবাগ থানায় আওয়ামী এমপি গাজী দস্তগীরের মালিকানাধীন গাজী টিভির সাংবাদিক অঞ্জন রায়ের সাধারণ ডায়েরিকে (জিডি) উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের ছোট ছেলে ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী।
সোমবার রাতে গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়ে এই নিন্দা জানান তিনি। আযমী বলেছেন, পত্রপত্রিকা ও ফেসবুক মারফাত জানতে পারলাম, গত ৩১ মে অঞ্জন রায় শাহবাগ থানায় আমার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ডায়েরিতে আমি ফেসবুকে তাকে ‘হুমকি’ দিয়েছি বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘অঞ্জন রায়ের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেন না তার বিরুদ্ধে বা তাকে কেন্দ্র করে কোনো হুমকি আমি কখনই দেইনি। আমি আমার বিরুদ্ধে এই ডায়েরি করার তীব্র নিন্দা জানাই।’
আযমী দাবি করেন, ‘প্রকৃত ঘটনা হলো- অঞ্জন রায়ের ২৮ মের ফেসবুকের একটি মন্তব্যের সমালোচনা করে আমি ২৯ মে আমার ফেসবুক একাউন্টে একটি পোস্ট দেই। আমার পোস্টে উনার বক্তব্যের বিপরীতে আমি কিছু বক্তব্য রাখি।
আমার সেই বক্তব্য মিথ্যা হলে এবং উনার বক্তব্য সত্য হলে তিনি তথ্য-উপাত্তসহ আমার বক্তব্য খণ্ডন করতে পারতেন।’ তিনি বলেন, ‘অথচ তিনি আমার বক্তব্যের কোনো জবাব না দিয়ে আমি তাকে হুমকি দিয়েছি মর্মে থানায় মিথ্যা ডায়েরি করেছেন। আমি মনে করি কেবলমাত্র আমাকে হয়রানি করা ও বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যেই এই ডায়েরি করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে আযমী বলেছেন, উল্লেখ করা যেতে পারে, একটি মহল কিছুদিন পরপরই আমাকে হয়রানি ও বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে আমাকে নিয়ে গণমাধ্যমে হৈ চৈ শুরু করে। এই ডায়েরিও সেই প্রচেষ্টারই ধারাবাহিকতায় করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, স্মরণ করা যেতে পারে, আমি সব সময়ই স্পষ্টভাবে বলেছি যে, আমি রাজনীতি করি না এবং কোনো দলের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি প্রায় ৩০ বৎসর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে চাকুরি করে সকলের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। কিন্তু তারপরও আমার বাবার নাম নিয়ে বারবার আমাকে বিতর্কিত করার এই ধরনের অপচেষ্টা আপত্তিকর ও নিন্দনীয়।
আযমী সকলকে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান এবং আশা করি আমার এই বিবৃতির পর এ নিয়ে সকল ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে। উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত নয়টার দিকে সাংবাদিক অঞ্জন রায় শাহবাগ থানায় আবদুল্লাহিল আমান আযমীর বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন।
এতে অঞ্জন রায় দাবি করেন, আযমী নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাকে হুমকি দিয়েছেন। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।