ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় পৌঁছার পরপরই টুইটে বাংলাদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামলে মোদীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে টুইটারে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তার এবারের টুইটটি করা হয়েছে বাংলায়।
একটি টুইটে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, “উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ। আমি একটি সুন্দর সফর আশা করছি, যা ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করবে।” “বাংলাদেশ, আমি আমার সাথে ভারতের মানুষের ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা নিয়ে আসছি,” লিখেছেন অন্য টুইটে।
সকালে ঢাকার পথে নয়া দিল্লি রওনা হওয়ার সময় আরেকটি টুইটে নিজের দুদিনের এই সফরের সাফল্য প্রত্যাশা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। “বাংলাদেশে রওনা হচ্ছি। এই সফর দুই জাতির পারস্পরিক বন্ধন আরও মজবুত করতে যাচ্ছে। এতে শুধু দুই দেশের জনগণই নয়, এই অঞ্চলের সবাই উপকৃত হবে।” চার বছর আগে মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় ‘ডুবোচরে’ আটকে যাওয়া তিস্তা চুক্তির জট না খুললেও ‘গণ্ডির বাইরে গিয়ে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খোলার’ আশা জাগিয়ে ঢাকায় পা রাখলেন মোদী।
শনিবার বিকালে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকে কয়েকটি চুক্তি সই এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তর হবে। তবে এই দফায়ও তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না।
৩৬ ঘন্টার এই ঐতিহাসিক সফরে মোদী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে একান্ত সাক্ষাতে মিলিত হবেন।
রোববার রাতে ঢাকা ছাড়ার আগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভারতীয় হাই কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন মোদী। চা বিক্রেতা থেকে রাজনীতিতে এসে বহু বিতর্কের মধ্যেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রির রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসা মোদীর এই বক্তৃতা নিয়ে এরই মধ্যে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।