ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘আদালত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদকে পরিচিত করেছে, যদিও সেখানে কিছু গোঁজামিলও রয়েছে। তবে সেদিকে আমি না গিয়ে একটি উদাহারণ দিতে চাই।
সেটি হলো- বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন তখন তার পাসপোর্টে বাংলাদেশি লেখা ছিল। বর্তমানে তিনি যে লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করেন সেখানেও লেখা আছে বাংলাদেশি। এতে বোঝা যায় জিয়াউর রহমানের চেতনার বাইরে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
ক্ষমতাসীনদের স্মরণ করে দিয়ে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘দেশের টেকসই উন্নয়ন, বেঁচে থাকা ও টিকে থাকার জন্য মূল উপাদন হবে “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ”। এর বাইরে কখনোই উন্নয়ন সম্ভব নয়।’ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাউথ এশিয়া ইয়ূথ ফর পিস অ্যান্ড প্রোসপারিটি সোসাইটি আয়োজিত ‘আমাদের পরিচয় সঙ্কট ও যুব সমাজের ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্যে রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. আজম খান প্রমুখ।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের সবাইকে একটি ছাতা অর্থাৎ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ শক্তির তলেই আসতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘৭২-এর মূল সংবিধানে ঘোষিত হয়েছিল বাংলাদেশের নাগরিকগণ বাঙালি বলিয়া পরিচিত হইবে। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিকগণ বাংলাদেশি বলিয়া পরিচিত হইবে এটাই ছিল জিয়িউর রহমানের মূল চেতনা। আর এই চেতনায়ই দেশের বর্তমান নাগরিকরা নিজেদের পরিচিত করছে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল(অবঃ)রুহুল আলম চৌধুরী বলেন,বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হয় কিংবা জঙ্গিবাদের উত্থান হয়, তার প্রভাব ভারতেও পড়বে। কারণ, ভারত প্রতিবেশী দেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২২টি চুক্তি সই হবে। কিন্তু কী চুক্তি হচ্ছে, তা জনগণ জানে না। চুক্তিগুলি জানানো হলে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের উপকারই হবে।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান বলেন,বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী, বন্ধু ও বড় দেশ। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি সে দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংকট চলছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এ সময় তিনি মোদির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কোনো চুক্তির ফলে যেন বাংলাদেশের ক্ষতি না হয়, তার প্রতি লক্ষ রাখতেও মোদির প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপার্সনের এই উপদেষ্টা।