ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আমেরিকা।
দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেফ রাথকে বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সু-সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। তবে সফরের বিষয়ে আমার কাছে বিস্তারিত কিছু নেই, আর কোনো মন্তব্য নেই।
ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে করা সাংবদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জেফ রাতকে বলেন, “আমরা সব সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক ও সম্প্রীতি দেখতে চাই।”
এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারত সফরের সময় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনায় আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন।
সে সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও দুই নেতা কথা বলেছিলেন জানিয়ে এক সাংবাদিক জানতে চান, জেফ রাতকে কি মনে করেন যে, মোদির এই সফরের পর বাংলাদেশ শান্তি, স্থিতিশীলতা ও শক্তিশালী গণতন্ত্রের দিকে এগোবে?
জবাবে জেফ রাতকে বলেন, “বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে বলার মতো আসলে কিছু নেই আমার কাছে। তবে অবশ্যই এই দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ককে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু এর চেয়ে বেশি আর কিছু নেই। এই সফর সম্পর্কে বলার মতো কোনো মন্তব্য নেই আমার কাছে।”
ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী মুসলমানদের সম্পর্কে কোনো তথ্য আছে কি না তা জানতে চান এক সাংবাদিক।
জবাবে জেফ বলেন, “আমরা ১৫০ অভিবাসী নিয়ে সচেতন আছি, সম্ভবত শিগগিরই এদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এই অভিবাসীদের বিষয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন মানবিকতার পথ সহজ ও অবাধ করে দেয়। সেই সঙ্গে তারা যেন ইউএনএইচসিআর ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার সঙ্গে কাজ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার অনুযায়ী এই অভিবাসীদের গ্রহণ করে। আমরা এটাও বুঝি যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার এসব আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করে এই অভিবাসীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে কাজ করবে। এই বিষয়ে আমার কাছে আপাতত এটুকুই বলার আছে।