DMCA.com Protection Status
title="৭

শহীদ জিয়ার সততা,বেগম জিয়ার দৃঢ়তা ও তারেক জিয়ার স্থিরতাঃ বিএনপির সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি

khaleda_zia_tareqক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সময়ের বিবর্তনে বাংলাদেশের রাখাল রাজা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নিজ হাতে গড়া দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)আজ এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আস্থার দল।

গত সারে ৩ দশকের অনেক উত্থান-পতন,চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে  দলটি আজ এই অবস্থানে পৌছেছে।দেশ ও দেশেরমানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা,অসানান্য দূরদৃষ্টিতা ,রূপকথা সম ব্যক্তিগত সততা ও ন্যায়পরায়নতা এবং সাধারন মানুষকে দেশপ্রমে উদ্ভুদ্ধ করার যাদুকরী ক্ষমতা নিয়ে শহীদ জিয়া এসেছেন এবং নিমেষেই জয় করে নিয়েছেন মানুষের মন।

অত্যন্ত অসময়ে এবং অকালে ঘাতকের বুলেটে তার তিরোধান না হলে এবং বাংলাদেশকে আরও দির্ঘকাল নেতৃত্ব দিতে পারলে,বাংলাদেশ আজ উন্নত বিশ্ব না হলেও প্রাচ্যের সেরা মালেশিয়া, সিঙ্গাপুরের সমকক্ষ যে  হয়ে উঠতো তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

শহীদ জিয়ার অকাল মৃত্যুর মাত্র কয়েকমাস পর বিপুল ভোটে  নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সাত্তারকে বন্দুকের নলের মূখে পদত্যাগে বাধ্য করে বিএনপি সরকারের কাছ থেকে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন স্বৈরশাসক হো মো এরশাদ।এর পর শুরূ হয় সরকারী তত্বাবধানে বিএনপি ভাঙ্গার খেলা।হাত গোনা দুই একজন বাদে বিএনপির সকল শীর্ষ নেতারা তখন হালুয়া রুটির লোভে এরশাদের অতিথি বনে যান।

দলের এই রিক্ত-শুন্য পরিস্থিতিতে শহীদ জিয়ার বিধবা স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের হাল ধরতে বাধ্য হন,এক নিদারুন কষ্টের সেই দিন গুলিতে।দল চালানোর অর্থ,লোকবল কোনটাই তেমন না থাকলেও শহীদ জিয়ার আদর্শ এবং দিকনির্দেশনা বুকে নিয়ে,অদম্য সাহসে এগিয়ে গিয়েছেন এই দেশমাতা,বড় নেতাদের না পেলেও,সাথে পেয়েছেন শহীদ জিয়ার একনিষ্ঠ সমর্থক নীরু-বাবলুর অকুতভয় ছাত্রদলকে।এর পর শুধুই ইতিহাস।

বেগম জিয়া দির্ঘ ৯ বছর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে এক অনমনীয় দৃঢ়তা প্রদর্শন করে পরিনত হন আপোষহীন নেত্রীতে। অবশেষে অবিশ্বাস্য ভাবে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি।প্রায় এক দশক পর আবার দেশ শাসনে ফিরে আসে বিএন পি।ঐসময় মৌ লোভী সাবেক বিএনপির নেতারা আস্ত আস্তে দলে ফিরতে শুরু করেন।

সময়ে পরিক্রমায় শহীদ জিয়ার সন্তান তারেক রহমান বিএনপির রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ৯০ এর দশকে।দির্ঘপথ পাড়ি দিয়ে তিনি আজ দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং দলের ২য় সর্বোচ্চ নেতা।অন্য কেউ পছন্দ করুক আর নাইবা করুক বাংলাদেশের জনগন বিএনপি এবং জিয়া পরিবারকে সমার্থক হিসাবে দেখতেই পছন্দ করে।বিএনপি ও এই পরিবারটি এক অর্থে অবিচ্ছদ্দ এবং অভিন্ন।

বিএনপির গত ৩৫ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে,বিএনপি থেকে স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় যারা চলে গেছেন বা যেতে বাধ্য করা হয়েছে এবং নতুন দল গঠন করেছেন তারা কখনই বিএনপির অসামান্য প্রভাব বলয় থেকে বেরোতে পারেননি।

মওদুদ আহমেদ,মাঈদুল ইসলাম,মোরশেদ খান সহ অনেকের ব্যাপারেই এই উদাহরন ব্যবহার করা যায়।বিএনপির প্রতিস্ঠাকালীন মহাসচিব বদরুদ্দোজা চৌধুরী দলের সাথে মতবিরোধের ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রপতির পদ হারান এবং বিএনপি থেকে বের হয়ে বিকল্পধারা বাংলাদেশ গঠন করেন।তার এই নামসর্বস্য দলটি গত ১৪ বছরে বিএনপি বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে তো  পারেইনি বরং নিজেরা মোটেও বিকশিত হতে পারেন নি।

একই ভাবে ১/১১ এর পরবর্তি সময় সেনা সমর্থিত অবৈধ সরকারের ইশারায় বিএনপির কতিপয় নেতা দল থেকে জিয়া পরিবারকে মাইনাস করার যে অশুভ তৎপরতা শুরু করেন তাও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।পরে এ সকল নেতাকেও লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বিএনপিতে ফিরে এসে আবার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পদতলে আশ্রয় নিতে হয়।

শেখ হাসিনা আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ২০ দলীয় জোটে না থাকলেও এই আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়ে গিয়েছে,বি চৌধুরীর বিকল্পধারা,কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং আসম আবদুর রবের জাসদ।

ইদানিং বিএনপির আভ্যন্তরিন বিষয়ে অনেক অযাচিত উপদেশ দিচ্ছেন বি, চৌধুরী।গত পরশু তিনি বলেন,বিএনপিকে আবার জিয়ার রাজনীতিতে ফিরে যেতে হবে,বিএনপিকে এই জন্য জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে বলেও তিনি বলেন।বিএনপি কোন দলের সাথে কৌশলগত জোট করবে কি করবে না তা একান্তই দলটির নিজস্ব ব্যাপার।এব্যাপারে বি চৌধুরী বলার কে?বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমান দলের যেকোন সিদ্ধান্ত নেবেন এবং বাস্তবায়ন করবেন।

এখানে বিশেষভাবে প্রনিধান যোগ্য গতকাল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ গতকাল বলেছেন,' বি চৌধুরী কে ধন্যবাদ বিএনপিকে উপদেশ দেবার জন্য,বিএনপির নেতা কর্মীদের বুঝতে হবে খালেদা জিয়ার ভূল সিদ্ধান্তে তিনি বিএনপিকে জঙ্গীদলে পরিনত করেছেন এবং নিজে হয়েছেন জঙ্গীদের নেত্রী।এই কথা গুলো তিনি বিএনপি-জামাতের জোট বদ্ধতার কারনেই বলেছেন।এ দুজনের কথা লক্ষ্য করুন,একই সূর খুজে পাবেন।

বিএনপিকে দূর্বল ও নিশ্চন্হঃ করার ধারাবাহিক আওয়ামী প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে এ ধরনের হীন কাজ দির্ঘদিন ধরেই চলছে।ইদানিং সরকার সাবেক বিএনপি নেতাদের স্মরনাপন্ন হয়েছে বলে মনে হয়।আমরা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই বিএনপির মতো একটি বিশাল জাহাজ থেকে দু একটি ইদূর ঝাপিয়ে পড়লে বিএনপির কিছুই হয় না বরং সেই ইদুরগুলোই ডুবে মরে।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্ব এবং দিকনির্দেশনার প্রতি বিএনপির সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা পূর্ন আস্থাশীল এবং ব্যতিক্রমের কোন ষঢ়যন্ত্র তারা কিছুতেই মেনে নেবে না।শহীদ জিয়ার বিএনপি বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়ার সুযোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে সমৃদ্ধির চুড়ান্ত সোপানে ,যাতে শহীদ জিয়া ক্ষুধা এবং দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।

শহীদ জিয়া,বেগম জিয়া ও তারেক জিয়ার বিএনপিতে বিভেদের চেষ্টা আগেও সফল হয়নি,ভবিষ্যতেও কখনও সফল হবেও না,ইন শা আল্লাহ।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!