দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সঙ্গে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এর সমাধান হবে।’
তিনি বলেন, বিজিবির নায়েক রাজ্জাককে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। তাকেও ফিরিয়ে আনা হবে। বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকেদর সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘নাফ নদীতে বিজিবি সদ্যরা টহল দিচ্ছিল। ওপাশে বিজিপির সদস্যরাও টহল দিচ্ছিল। আমাদের একটি টহল বোট জালে আটকা পড়ে পিছে পড়ে যায়। এসময় ভুল বোঝাবুঝির কারণে উভয়পক্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।’ বিজিবির নায়েক রাজ্জাক বিজিপির কাছে রয়েছে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বুধবার ভোরে টেনাফের নাফ নদীর দমদমিয়া পয়েন্টের বিপরীতে লালদিয়া এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) এক সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া বিজিবির নায়েক রাজ্জাককে ধরে নিয়ে গেছে বিজিপি।
গুলিবিদ্ধ বিপ্লবকে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। টেকনাফ বিজিবির কর্নেল খালেকুজ্জামান পিএসসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পতাকা বৈঠকের জন্য বিজিপির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের জি ২ মেজর আমিনুল ইসলাম জানান, ভোরের দিকে বিজিবির একটি দল নাফ নদীতে টহল দিচ্ছিল। তখন বিজিপি বাংলাদেশে অংশের জলসীমায় একটি ট্রলারে তল্লাশি করছিল। বিজিবি তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বললে তারা বিজিবির নায়েক রাজ্জাককে ধরে নৌযানে তোলার চেষ্টা করে। সে সময় বাধা দেন বিজিবির অন্য সদস্যরা। এক পর্যায়ে বিজিবিকে লক্ষ্য করে বিজিপি সদস্যরা গুলি করলে সিপাহি বিপ্লব গুলিবিদ্ধ হন। তারা এর মধ্যে নায়েক রাজ্জাককে ধরে নিয়ে চলে যায়।