DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

হাসিনা যুক্তরাজ্য ত্যাগের পূর্বেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনার ঝড়!

hcommonsক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে গত ৫ই জানুয়ারী ২০১৪ এর ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ই জুন, ২০১৫ এক ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাজ্য গমন করেন।

কিন্তু গনতন্ত্রের সূতিকাগার যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও অভিবাসীরা ভোটার বিহীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনার এই  সফর কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারেন নি। শেখ হাসিনার উক্ত সফরকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন লন্ডনে স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতারা এবং গনতন্ত্রকামী লন্ডন প্রবাসী জনতা প্রবল বিক্ষোভ করতে থাকেন।

তারই প্রেক্ষিতে সর্বশেষ সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এর সামনে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে দু পক্ষের উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। যার ফলে, শেখ হাসিনা লন্ডন ত্যাগ না করতেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্যপক বিতর্কে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও বাকস্বাধীনতা পরিস্থিতির লক্ষণীয় কোনো উন্নতি হয়নি বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার এই সফরের উদ্দেশ্য ছিলো সাম্প্রতিক ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তিন এমপিকে সম্বর্ধনা এবং সম্মাননা প্রদান।কিন্তু ভোটার বিহীন নির্বাচনে ক্ষমতা আকড়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে অস্বিকৃতি জানান দুই এমপি রুশনারা আলী এবং রূপা হক ।তাই অগত্যা নিজ ভাগ্নী অপর এমপি টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়েই এই সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান সারতে হয় তড়িঘড়ি করে।

তাড়াও হাসিনা তার ৬দিন ব্যাপি লন্ডন সফরে যেখানেই গেছেন, সেখানেই শত শত বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশী-ব্রিটিশ নাগরিকের  বিক্ষোভের মূখে পড়েছেন।এই বিষয়টি বৃটেনের সকল গন মাধ্যম সহ আন্তর্জাতিক গন মাধ্যমে ব্যপক প্রচারনা পেলে বাংলাদেশের ভয়াবহ অগনতান্ত্রীক পরিস্থিতি আবারো আলোচনায় উঠে আসে।

এরই ধারাবাহিকতায় হাউজ অব কমন্সের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ গুরূত্বের সাথে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উত্বপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।সন্মানিত এমপিগন বলেন, ৫ই জানুয়ারী'১৪ এর ভোটার বিহীন নির্বাচনের পর সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনের  নানা অনিয়ম, জালিয়াতির তথ্য প্রমানাদী যুক্তরাজ্যের কাছে আছে। এমপি গন অবিলম্বে বাংলাদেশের এই অসনীয় এবং অগনতান্ত্রীক অবস্থা উত্তরনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জেমস ক্যামেরন এবং ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহবান জানান।

তারই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেয়ার কারনে তারা হতাশা ব্যক্ত করেন। সুতরাং মূল কথা অবৈধ শেখ হাসিনার সফর, লন্ডন প্রবাসীদের অব্যাহত বিক্ষোভ এবং জনগনের ভোটে নির্বাচিত দুই এমপি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান ও সর্বশেষ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সমালোচনার ঝড় সহ সবকিছু মিলে অবৈধ সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে সবাই।

এখানে উল্লেখ্য বাংলাদশের গনমাধ্যমে শেখ হাসিনা ব্রিটিশ সংসদে গিয়েছেন এবং সাংসদদের সঙ্গে  মত বিনিময় করেন বলে যে সংবাদ পরিবেশিত হয় তাও সঠিক নয় বলে জানা গেছে।ব্যক্তিগত সফরে যাওয়া হাসিনা তার পরিবার পরিজন নিয়ে পার্লামেন্টের অধিবেশন দেখতে দশনার্থী হয়ে ভিজিটর্স গ্যালারীতে বসেছিলেন যা কিনা পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে যেকোন ব্যাক্তিই করতে পারে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!