লজ্জাজনক ভাবে বাংলাদেশের কাছে দুইটি একদিনের ম্যাচ তথা সিরিজে পরাজিত হওয়ার পরপর ড্রেসিংরুমেই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়, ৩৩ বছর বয়স্ক ধোনি ড্রেসিং রুমে বলেছিলেন, তার পদত্যাগে যদি দলের কল্যাণ হয়, তবে তিনি তা-ই করবেন। বাংলাদেশের কাছে এটাই ভারতের প্রথম সিরিজে পরাজয়। তিন ম্যাচ সিরিজে ভারত ০-২-এ পিছিয়ে পড়ে সিরিজে হেরে গেছে।এছাড়াও প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশী তরুন পেসার মুস্তাফিজকে সৌজন্যমূলকভাব ধাক্কা দিয়ে শাস্তি পেয়েছেন ধোনি যা নিয়ে ভারত ব্যাপি সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
২৪ জুন নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ও শেষ একদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় ধোনি টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়েন।
পরে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দলের মঙ্গলের জন্য তিনি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের পর রাহুল দ্রাবিড়ের কাছ থেকে একদিনের দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ধোনি। তাকে ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ক বিবেচনা করা হয়। তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ও টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন
। ভারতের অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, ভারতীয় দলের ড্রেসিং রুমের অবস্থা ধোনির অনুকূলে নয়। এমন অবস্থায় তার পক্ষে টিকে থাকা বেশ কষ্টকর। এটা আচ করতে পেরেই তিনি প্রয়োজনে পদত্যাগ করতে পারেন বলে রোববার ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেও জানিয়েছিলেন।
তবে ভারতের সাবেক অধিনায়করা মনে করেন ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধোনির হাতেই নেতৃত্বের ব্যাটন থাকা৷ অজিত ওয়াদেকর থেকে দিলীপ বেঙ্গসরকর৷ প্রত্যেকেই ধোনির পাশে৷
বেঙ্গসরকরের মতে, ‘আমার মনে হয় না ধোনিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে৷ মাস তিনেক আগেই ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারত৷ বিশ্বকাপের পর এটাই ধোনির প্রথম সফর৷ সুতরাং ওয়ান ডে ও টি-২০-তে ব্যাটনটা ওর হাতেই থাকা উচিত৷’
ওয়াদেকরের মতে, ‘এখনও ওয়ান ডে ও টি-২০-তে ধোনিই ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার সেরা ব্যক্তি৷ সুতরাং ওর হাতেই নেতৃত্ব থাকা উচিত৷ তবে, বাংলাদেশকে হাল্কাভাবে নেয়ার মাসুল দিয়েছে ভারত৷’