দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ এক ম্যাচ হাতে রেখে ইতোমধ্যে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের ধরনটা এতটা দাপুটে ছিলো যে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।
তাই বাংলাদেশের এমন কীর্তিতে জয়ধ্বনি না করে পারেনি বিশ্ব মিডিয়া। গুরুত্ব সহকারে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয় প্রচার হয়েছে বিশ্ব মিডিয়ায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের টাটকা স্বাদ নিয়েই ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের আগেও কল্পনা করতে পারেনি ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ পকেটে ভড়বে টাইগাররা।
প্রথম ওয়ানডেতে ৭৯ রানের জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে নেয় মাশরাফি বাহিনী। তাই বিশ্ব মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে। ঝড়ের মাত্রাটা এতই বেশি ছিলো যে, বাংলাদেশের জয়োধ্বনি না করে পারেনি বিশ্ব মিডিয়া। বিশেষভাবে ভারতের মিডিয়ায়।
ভারতের জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকা দৈনিক আনন্দবাজারে একটি রিপোর্টে শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাওয়াশের গর্জনের সামনে বিপন্ন ব্র্যান্ড ধোনি।’ আর ঐ রিপোর্টের ভেতরে বেশিরভাগ অংশেই বাংলাদেশ, অধিনায়ক মাশরাফি ও তরুন-তুর্কী মুস্তাফিজুরের প্রশংসা করা হয়েছে।
মাশরাফিকে নিয়ে বলা হয়েছে, ‘সিরিজ জয় নিশ্চিত হবার পর মাঠে শুধু লাফাতেই শুরু করে দিলেন মাশরাফি। কে বলবে, তার হাটুঁতে এক নয়, দুই নয়, ছয়টি অস্ত্রোপচার।’ মুস্তাফিজুরকে নিয়ে ঐ রিপোর্টে লেখা হয়, ‘অধিনায়কের একটা হাত অবিরাম ঘুরে বেড়াচ্ছে উনিশ বছরের এক বাঙালী পেসারের মুখে, হাতে, চুলে। মুস্তাফিজুর রহমানকে আজ ছুঁয়ে না দেখলে আর কবে দেখবে পদ্মাপার?।’
কোলকাতার আরেক দৈনিক উত্তরবঙ্গ সংবাদ একটি রিপোর্টে শিরোনাম করেছে, ‘ভারতকে হারিয়ে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।’ অন্য এক জায়গায় মুস্তাফিজুরের প্রশংসা করে, ‘ছবিসহ বিস্ময় বালক শিরোনাম দিয়েছে।’
ভারতের আরেক প্রচার মাধ্যম এনডি টিভি শিরোনাম দিয়েছে, ‘ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড ঐতিহাসিক সিরিজ জয়।’ ভারতের টাইমস ইন্ডিয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে শিরোনাম দিয়েছে, ‘মুস্তাফিজুর ঝলকে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।’
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়কে ভালো চোখে দেখেনি পাকিস্তানের জনপ্রিয় গণমাধ্যম দ্য ডন। কারন বাংলাদেশের এমন জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলাই অনিশ্চিত হয়ে গেছে পাকিস্তানের। তাই প্রথম ম্যাচের পর পাকিস্তানের সাবেক খেলোয়াড় সরফরাজ নেওয়াজ তো বলেই বসলেন, ‘পাকিস্তান যাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না খেলতে পারে, তাই বাংলাদেশের কাছে ভারতের ইচ্ছাকৃত হার।’
ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পরও প্রশংসা করে কোন সংবাদ তো ছাপায়ইনি। উল্টো ফায়দা লুটার চেষ্টা করেছে ডন পত্রিকাটি। ম্যাচ নিয়ে একটি রিপোর্ট করতে গিয়ে শিরোনাম দিয়েছে, ‘ভারতকে ধ্বংসের নায়কের আদর্শ মোহাম্মদ আমির’। কারন প্রথম ম্যাচের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিজের আদর্শ হিসেবে আমিরকে বলেছিলেন মুস্তাফিজুর।