ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ 'মিথ্যা দিয়ে সত্যকে কখনো ডেকে রাখা যায় না।হয়তো সাময়িক ভাবে কিছুক্ষন মানুষকে বোকা বানানো যায় কিন্তু তারপর আর নয়।আসল সত্য একদিন বের হয়ে আসবেই'।
গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের সোনারগাঁও রেস্টুরেন্টে লন্ডনের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক ইফতার ও খোলামেলা আলোচনায় এসব কথা বলেন বিলেতে বসবাসকারী বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সূযোগ্য সন্তান দেশনায়ক তারেক রহমানের অত্যন্ত ভদ্র কিন্ত দৃঢ় চিত্তের পরিচয়ে উপস্থিত সাংবাদিকগন মুগ্ধ হন। অমায়িক এবং সাদাসিধা আচরনে উপস্থিত সকলের মন নিমেষেই জয় করে নেন দেশনায়ক।উপস্থিত সাংবাদিকরা দেশনায়ক তারেক রহমানকে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের নেতা আখ্যা দিলে তিনি কৃতজ্ঞতা চিত্তে বিনয়ের সঙ্গে তাদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি রাষ্ট্রনায়ক সূলভ বিশেষত্ব এবং স্বভাব সূলভ হাস্যরসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক সাংবাদিকদের তার আমন্ত্রনে আসার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।দেশনায়ক তারেক রহমান বাংলাদেশের জনগনের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে সাংবাদিকদের পূর্ন সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।
ইফতার মাহফিলে লন্ডনের বাংলা মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিক-সম্পাদকগন উপস্থিত ছিলেন । বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, মাহিদুর রহমান,যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক, সাধারন সম্পাদক কয়সর এম আহমদ, সাবেক সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুছ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এ সালাম প্রমুখ।
আলোচনা সভায় তারেক রহমান বলেন, সত্যকে কখনো ডেকে রাখা যায় না।হয়তো সাময়িক কিছুক্ষন মানুষকে বোকা বানানো যায় তারপর আর নয়। তিনি দেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, আমার প্রতি ও আমার দলের প্রতি অনেক অবিচার হয়েছে। দেশে আজ মানুষের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নেই। তিনি সাংবাদিক সাগর রুনরি হত্যার প্রসংঙ্গ তুলে ধরে বলনে আপনারা সঠকি চত্রি, সত্য ও ন্যায়রে কথা বলুন । আপনাদরে প্রতি যে অন্যায় হচ্ছে সোচ্চার হউন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে ব্রিটেনের মত ট্রান্সর্পোটার্ সিস্টেম গড়ে তুলবেন।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরে তাকে ডিম, জুতা ইত্যাদি নিক্ষেপে করে দেশের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যখন দেশে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দির্ঘায়িত করার চেষ্টা করে তখনই দেশের ভাবমূতি চরম ভাবে ক্ষুন্ন হয়।
ইফতার মাহফিলে প্রায় ২শতাধিক সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন ,লন্ডন থেকে প্রচারিত জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল শেখ নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক শেখ মোঃ মহিউদ্দীন,লন্ডন বাংলা পত্রিকার সম্পাদক কেএম আবু তাহের চৌধুরী, সাবেক সম্পাদক শাহ ইউসুফ, জনমতের প্রধান সম্পাদক নাহাস পাশা,নিউজ এডিটর মুসলেহ উদ্দিন, সিলেটের আলাপ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ডাঃ আব্দুল আজিজ, সায়েম চৌধুরী, চ্যানেল আই ইউরোপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর রেজা আহমদ ফয়ছল চৌধুরী শোয়বে, সুরমার পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ ময়েজ, নিউজ এডিটর আব্দুল কাইয়ুম, সাবেক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, বাংলা পোষ্ট ব্যারিষ্টার তারেক রহমান, লন্ডনবাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহিব চৌধুুরী, সাংবাদিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক শেখ মোজাম্মেল হোসেন কামাল, সময় নিউজ এর সাঈদ চৌধুরী, দেশ পত্রিকার সম্পাদক তাইছির মাহমুদ, চ্যানেল এস এর চীফ রিপোর্টার মোহাম্মদ জুবায়ের, এক্সিকিউটিব এডিটর সালেহ শিবলী, এটিএন বাংলা মোস্তাক আলী বাবুল, লন্ডন বিডিনিউজ২৪ এর চীপ এডিটর কামাল মেহিদী, সম্পাদক জাকির হোসেন কয়েছ, চ্যানেল এস এর সিনিয়র রিপোর্টার ইব্রাহিম খলিল, বেতার বাংলার সিইও নাজিম চৌধুরী, নিউজ এডিটর সৈয়দ শাহ সেলিম আহমদ, সাপ্তাহিক পত্রিকার মতিউর রহমান চৌধুরী, সাপ্তাহিক বাংলা মিররের সম্পাদক আব্দুল করিম গনি, একাত্তর টিভির লন্ডন প্রতিনিধি তানভির আহমদ, ইকরা টিভির অনুষ্ঠান প্রধান হাসান হাফিজুর রহমান, দর্পন সম্পাদক রহমত আলী, বাংলাদেশ প্রতিদিন যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি আ স ম মাসুম, বাংলা সংলাপ মোশাহিদ আলী, বাংলা নিউজ এর সম্পাদক সুয়েব কবির,যুক্তরাজ্য বিএনপির মিডিয়া সেল এর তাজ উদ্দিন, আক্তার হোসেন, ড. মুজিবুর রহমান, নাজমুল হোসেন জাহিদ, ব্যারিস্টার জোহা, আক্তার মাহমুদ। এছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান মুজিব, মঞ্জরুস সামাদ চৌধুরী, তাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা কামাল আহমদ, সামসুর রহমান মাহতাব, খছরুজ্জামান খছরু, আব্দুর রহিম,শের এ সাত্তার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নাসির আহমদ শাহীন, সচিব আবুল হোসেন, যুবদল আহবায়ক দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ প্রমুখ।
ইফতার পর্ব শেষে দেশনায়ক তারেক রহমান বেশ কিছুক্ষন সাংবাদিকের সাথে চা পর্বে আড্ডায় মেতে উঠেন। এসময়ও অনেক সাংবাদিক প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানার চেষ্টা করেন। এসব অনেক প্রশ্ন কর্তাকে তারেক রহমান পাল্টা প্রশ্নও করেন।
এসময় স্থানীয় এক সাংবাদিক জামায়াতের সাথে তারেক রহমান কিংবা বিএনপির সম্পর্কের কোনো অবনতি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটা অবান্তর , এটা আওয়ামী মিডিয়ার সৃষ্টি । মিডিয়াতে আজকাল অনেক কিছুই লেখা হয়। আজ পর্যন্ত আমি কিংবা আমার দলের পক্ষ থেকে এমন কোন বক্তব্য আসেনি।
তিনি বলেন বিএনপিন চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, জামায়াতের সাথে আগের মতই জোটগত ভাবে আমরা আছি। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিরপেক্ষ ভাবে বিচার হলে সবার মত আমরাও তা মেনে নিতাম। দেশে আজ আইনের শাসন অনুপস্থিত। রাজনৈতিক কারনে অনেককেই ফাঁসি দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তারের পর অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন দেশনায়ক তারেক রহমান। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্যারোল মুক্তি নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন আসেন দেশ নায়ক তারেক রহমান। তখন থেকে গত প্রায় ৮বছর ধরে লন্ডনেই সপরিবারে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন তিনি।