ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশর স্থায়ী মিশনের এক অনুষ্ঠানে আল্লাহর গুণবাচক ৯৯টি নাম নিয়ে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ বক্তব্য দেয়ায় আবদুল গাফফার চৌধুরীর শাস্তি দাবি করেছে বিএনপি।
একই সংঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল মোমেন চৌধুরীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। রােববার দুপুরে নয়পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দলের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ দাবি করেন।
৩ জুলাই বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে আল্লাহর ৯৯ নাম, নারীর পর্দা ও আরবী ভাষা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন আওয়ামীপন্থী কলামিস্ট গাফফার চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আজকের আরবী ভাষায় যেসব শব্দ; এর সবই কাফেরদের ব্যবহৃত শব্দ। যেমন- আল্লাহর ৯৯ নাম, সবই কিন্তু কাফেরদের দেবতাদের নাম। তাদের ভাষা ছিল আর-রহমান, গাফফার, গফুর ইত্যাদি। সবই কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এডাপ্ট (গ্রহণ) করেছিল। ওই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্টপোকতায় আব্দুল গাফফার চৌধুরী ধর্ম নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। এমন বক্তব্য ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। গাফফার চৌধুরী ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। এই বক্তব্য দিয়ে জঘন্য ও অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এমন বক্তব্য দেয়ার পর অনুষ্ঠান বন্ধ না করে জাতিসংঘ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল মোমেন তাকে সংবর্ধনা ক্রেস্ট উপহার দিয়েছেন। আমরা বিস্মিত হয়েছি, জাতিসংঘ মিশনে আল্লাহ বিদ্বেষী কথা বলার জন্যই কি আবদুল গাফফার চৌধুরীকে অতিথি হিসেবে আনা হয়েছে!’ গাফফার চৌধুরীর ওই বক্তব্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘গাফফার চৌধুরী এমন বক্তব্য দিয়ে ধর্মবিশ্বাসীদের মনে আঘাত করেছেন।তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মুসলমানদের অন্তরে আঘাত দিয়েছেন।এ ঘটনায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।