নিউইয়র্ক থেকে ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গেলো শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিষয় বহির্ভূত ভাবে আল্লাহ তায়ালার পবিত্র নাম সমূহ, ইসলাম ধর্ম,নারীদের পর্দা এবং আরবী ভাষা নিয়ে চরম অবমাননাকর ও অশালীন মন্তব্য করে বিশ্ব ব্যাপি ব্যাপক নিন্দার ঝড়ে পড়েন আওয়ামী ভাবধারার বুদ্ধীজীবি ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী।জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল মোমেনের পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক,সুশিল সমাজ এবং প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পর্যন্ত এধরনের দায়িত্ব জ্ঞানহীন ও লাগামছাড়া বক্তব্যে বিরক্ত ও বিব্রত হয়েছেন জানা যায়।
ইসলামের বিরুদ্ধে এধরনের অশালীন মন্তব্য করায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা অত্যন্ত মর্মাহত হন এবং এই গাফফার চৌধুরীর নিন্দায় ফেটে পড়েন।
আজ বিকেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ পরিবার নামক সংগঠনের উদ্যোগে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয় প্রখ্যাত তাজমহল রেস্টুরেন্টের পার্টি সেন্টারে।এই আওয়ামী লীগ পরিবার সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী হলেন ডঃ শাহজাহান মাহমুদ এং সরাফত সরকার ও হাজী ইনাম , এ অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক।জানা যায় উক্ত অনুস্ঠানে মুরতাদ গাফফার চৌধুরীকে এনে আবার ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দেয়ানোর পরিকল্পনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা ডঃ শাহজাহান মাহমুদ,হাজী ইনাম এবং সরাফত সরকার।কিন্তু তাজমহলের স্বত্তাধিকারী জনাব মেহবুব খান এখবর জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ এই অনুষ্ঠানের বুকিং বাতিল করেন এবং মুরতাদ গাফ্ফারের তার রেস্টুরেন্টে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।বিপুল আর্থিক ক্ষতি মাথায় নিয়েও জনাব মেহবুব খান যে দৃঢ় চিত্তে এই মুরতাদকে প্রতিহত করেছেন তা অবশ্য প্রশংসনীয়।এব্যাপারে জনাব মেহবুব খাঁন বলেন,একজন আত্ব স্বিকৃত নাস্তিক গাফফার চৌধুরী তার প্রতিস্ঠানে এসে আল্লাহ রাসুলের কুৎসা গাইবেন,তা তিনি কিছুতেই হতে দেবেন না।এদের প্রতিহত করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব বলে জনাব খাঁন মনে করেন।ঐ সময় দলমত নির্বিশেষ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী সেখানে উপস্থিত হয়ে স্বতর্স্ফূর্ত ভাবে গাফ্ফার বিরুদ্ধে চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।
তাজমহল পার্টি সেন্টার থেকে বিতারিত হয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে এই হাজী ইনাম ও সরাফত গং ব্রুকলীনের চার্চ ম্যাগডোনাল্ডস্থ সুগন্ধা রেস্টুরেন্টে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা করলে বিপুল সংখ্যক – প্রবাসী ভাইগন তাদের প্রতিহত করতে সেখান হাজির হন।যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়ার সহ-সভাপতি প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন সহ শত শত ধর্মপ্রান মুসলমান ঐসময় সুগন্ধার সামনে উপস্থিত হয়ে গাফফার বিরোধী বিক্ষোভ করতে থাকেন।এই পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা মুরতাদ গাফ্ফার এবং তার সাঙ্গাপাঙ্গদের প্রায় ৩ ঘন্টা সুগন্ধার বেইজমেন্টে অবরুদ্ধ করে রাখে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঐসময় আশেপাশের বেশ কয়েকটি রাস্তা সম্পূর্ন বন্ধ করে দেয় নিউইয়র্ক পুলিশ এবং উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে পরে নিউইয়র্ক পুলিশের প্রহরায় অনুষ্ঠান না করেই তাদের স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।
এই ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত জনাব জাহিদ এফ সরদার সাদীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ,"জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনীধি আবদুল মোমেন এর পরিচালনায় আওয়ামী বুদ্ধিজীবি আবদুল গাফফার চৌধুরীকে দিয়ে ইসলাম অবমাননাকর মন্তব্য করিয়ে কি মেসেজ দিতে চাইছেন হাসিনা ???
লতিফ সিদ্দিকী, আবদুল গাফফার চৌধুরী, আবদুল মোমেনদের দিয়ে এ ধরনের ধাপ্পা বাজী করে কোন লাভ হবে না। সবে তো জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সহায়তা প্রকল্প প্রত্যাহার করেছে, অপেক্ষা করুন একে একে আরও বহু সহায়তা প্রকল্প প্রত্যাহার এবং বাতিল হবে। আমরা চাই সকল ধর্মের প্রতি সন্মান এবং সৌজন্য প্রকাশ করা হোক। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার নিকট মিত্রদের বিরুদ্ধে চরম কটুক্তি করার দুঃসাহস এরা কোত্থেকে পায়।এখনই সর্বক্ষেত্রে এদের প্রতিহত করতে হবে এবং অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কারের ব্যবস্থা নেয়া জরুরী"।