ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত ইফতার পূর্ব এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসার জন্য অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশনায়ক তারেক রহমান আওয়ামী লীগের অগনতান্ত্রীক ও স্বৈরাচারী কর্মকান্ডের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে মানুষের বাক স্বাধীনতা হরন করা।
সোমবার পূর্ব লন্ডনের রয়েল রিজেন্সি হলে হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে তিনি বলেন, তাদের মুক্তি যুদ্ধের চেতনা হচ্ছে মানুষের মুখ বন্ধ করে দেয়া, সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দেয়া, সকল পত্র পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া।আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে, সিরাজ শিকদারকে খুন ইলিয়াসকে গুম।
তিনি বলেন, আমরা যদি আওয়ামীলীগ নামক দলটির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেখি, তাহলে কি দেখবো সারে ৭ কোটি কম্বলের কোন হদিস নেই। আমরা যদি চেতনা দেখি তাহলে দেখব সিরাজ শিকদারসহ হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম। তাদের চেতনা হচ্ছে বিদেশীদের দেয়া সম্মাননার ক্রেষ্ট থেকে সোনা চুরি করা। তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে জনগনের ৪শ কোটি টাকা দিয়ে পচা-পূতিগন্ধময় গম কিনে আনা হয়। এই গম মানুষে খাওয়াতো দূরের কথা পশুর খাবারেরও অনুপযোগী।
তারেক রহমান বলেন, এখন বিদেশী পত্র পত্রিকা গুলোতে খবর বের হচ্ছে সুইচ ব্যাংকে শত শত কোটি টাকার পাচার হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যদি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেখি তাহলে দেখবো দুর্নীতিতে তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। তাদের আসল চেতনা হচ্ছে পদ্মা সেতু কাজ শুরু হওয়ার আগেই দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হওয়া। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে কুইকলি জনগনের টাকা আত্মসাত করা। শেয়ার মার্কেটের মাধ্যমে ৩০ লাখ মানুষকে সর্বস্রান্ত করা । আমরা যদি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেখি তাহলে দেখতে পাবো নারায়ানগঞ্জে ৭ খুন। আমরা যদি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেখি তাহলে দেখতে পাবো ইলিয়াস আলীকে গুম। ৭০ লাখ টাকা সহ ব্ল্যাক ক্যাটের উত্তান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বেড রুম পাহারা দিতে পারবে না, তাই সাগর রুনিকে নির্মমভাবে খুন হতে হয়।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, আমরা সবাই আল্লাহ তায়ালাকে বিশ্বাস করি। আল্লাহ বলেছেন, তোমরা নিজেরা চেষ্টা করো আমি তোমাদের সাহায্য করবো,তাই আমরা চেষ্টা করবো, আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবো। আমরা বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ হয়েছে তা ইনশা আল্লাহ মুক্ত করে আনবই। মুসলমান হিসেবে আপনাকে একমাত্র আল্লাহর দরবারেই ফরিয়াদ জানাতে হবে। যাতে করে আমাদের যে সকল নেতা কর্মী শহিদ হয়েছে তাদের জান্নাত নসীব হয় এবং যারা জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন তাদেরকে যেন আল্লাহ দ্রুত মুক্ত করে আনেন। এই দোয়া আপনাদের কাছে থাকলো। আপনারা যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলনের ঘোষনা আসলেই ঝাপিয়ে পড়বেন।
মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, বিএনপির তত্ত্ব ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসিম, সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, শেখ সুজাত, বিএনপির আর্ন্তজাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি সায়েস্তা চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম।