DMCA.com Protection Status
title="৭

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক আওয়ামী সরকারের সচিবের চরম অপমানে মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা

imagesক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে স্বাধীন বাংলাদেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিবের গলাধাক্কা সহ চরম অপমানিত হতে হয় তাও আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বঘোষিত সোল এজেন্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। এরই ফলশ্রতিতে এই মুক্তিযোদ্ধা লজ্জায় অপমানে গতকাল আত্মহত্যা করেছেন।

shochibআইয়ুব খান (৬২) নামের ওই মুক্তিযোদ্ধা মঙ্গলবার সকালে তোপখানা রোডের একটি হোটেলে বিষপান করেন। দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পুলিশের ভাষ্যমতে, মৃত্যুর আগে আইয়ুব খান ঢাকার জেলা প্রশাসকের বরাবরে চার পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখেছেন।

তাতে তিনি লিখেছেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান তাঁকে বাসা থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছেন। এই অপমান সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশ ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আইয়ুব খানের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্যসচিব ছিলেন।

তিনি আজ সকালে তোপখানা রোডের কর্ণফুলী হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষে বিষ পান করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের ৭০২ নম্বর কক্ষে তাঁকে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।

পরে ২০৪ নম্বর কক্ষে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে তাঁর লেখা চার পৃষ্ঠার ওই চিঠি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা চিঠিতে আইয়ুব খান লিখেছেন, ‘চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ইউনিট কমান্ড ঘোষণার জন্য এম এ হান্নান, সচিব মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে মাছ, শুঁটকি ও টাকা দেওয়ার পর দক্ষিণ জেলা ইউনিট কমান্ড ঘোষণা করার জন্য বারবার আবেদন করার পর ঘোষণা না করলে সচিবের বাসায় আমার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাসা হতে অপমানিত করে বাহির করে দেওয়ায় আত্মহত্যা করিলাম এবং আমার লাশটা ঢাকায় দাফন করার জন্য আবেদন।’

চিঠিতে আইয়ুব খানের নামে সিল ও সই রয়েছে। এতে গত সোমবারের (০৬.০৭. ১৫) তারিখ দেওয়া হয়েছে। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন ফরাজী বলেন, সকালে কর্ণফুলী হোটেল থেকে আইয়ুব খানের বিষ পান করার বিষয়টি থানায় জানানো হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই হোটেল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইয়ুব খান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন বলে জানান তিনি। কর্ণফুলী হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষ তল্লাশি করে একটি চিরকুট উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এব্যাপার সচিব এম এ হান্নানের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!