ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মহাসচিব সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর (এলজিআরডি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপক ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
তাঁকে ওই মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ জানিয়েছেন। একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেন। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো নির্দেশনা নেই। মন্ত্রিসভায় রদবদল ও দপ্তর বণ্টনের দাপ্তরিক কাজটি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।আর এই কারনেই জনমনে প্রচুর কৌতুহল উদ্দিপক প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো নির্দেশনা নেই।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জ্যেষ্ঠ এক মন্ত্রী বলেন, আজকের একনেক বৈঠকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ না থাকায় প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এরপর তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে সৈয়দ আশরাফকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে অব্যাহতি দিতে এ বিষয়ে সারসংক্ষেপ তৈরি করতে বলেন। ওই মন্ত্রীর ভাষ্য, প্রধানমন্ত্রী হয়তো ক্ষোভের মুখে এ ধরনের কথা বলেছেন। চাইলে পরে তিনি তা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। তবে পুরো বিষয়টি এখন নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর।
এদিকে, দেশের শীর্ষ একটি অন লাইন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, সৈয়দ আশরাফকে সরিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশরারফ হোসনকে। এ বিষয়ে তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কাছ থেকেই বিষয়টা শুনেছি। এ বিষয়ে সরকারিভাবে কেউ আমাকে কিছুই জানান নি। এ বিষয়ে সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।