ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আমদানি করা সাড়ে ছয় লাখ টন গমের মধ্যে ৫ লাখ টনই অত্যন্ত নিম্নমানের। এর অর্ধেকের বেশি গম সম্পূর্ন খাওয়ার অনুপযোগী পচা গম। মানসম্মত দেড় লাখ টন গম চট্টগ্রাম ও মংলায় খালাসের প্রক্রিয়া চলছে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বেশ চড়া দামে এসব গম কেনা হয়।খাদ্য মন্ত্রী গম কামরুল খাদ্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পরই এসব পচা গম আমদানী করা হয় বলে জানা গেছে।
খাদ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছে তিন লাখ টন গম। ফ্রান্স থেকে দুই লাখ, রোমানিয়া থেকে এক লাখ এবং আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার টন গম আমদানি করা হয়। গত জুন পর্যন্ত দফায় দফায় গমগুলো বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে ব্রাজিলের তিন লাখ, ফ্রান্সের দেড় লাখ এবং রোমানিয়ার ৫০ হাজার টন গমের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ফ্রান্সের ৫০ হাজার, আর্জেন্টিনার ৫০ হাজার এবং রোমানিয়ার ৫০ হাজার টন গম মানসম্পন্ন। এগুলোর মধ্যে এক লাখ দশ হাজার টন গম চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ৪০ হাজার টন মংলা বন্দরে খালাসের প্রক্রিয়া চলছে।
ব্রাজিল থেকে আনা পচা গম খালাসের পর ব্যাপক হৈচৈ হওয়ায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের কেউ অন্য গমের বিষয়েও মুখ খুলতে চান না। সবার মধ্যে এক ধরনের গম-আতংক তৈরি হয়েছে।
খাদ্য অধিদফতরের ডিজি ফয়েজ আহমদ নিজ দফতরে কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গম নিয়ে যেসব জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষা করছে সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে। গম খালাসের জেটি একটি হওয়ায় দেরি হচ্ছে। টেন্ডারের শর্ত মোতাবেক যেসব গম পাওয়া যাবে তার সবই পর্যায়ক্রমে খালাস করা হবে। তবে শর্তের বাইরে কোনো নিম্নমানের গম পাওয়া গেলে তা কোনোভাবেই গ্রহণ করা হবে না।