দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ নব নিযুক্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা আমাকে খোঁচা মারবেন না। খোঁচা মেরে আমার কাছ থেকে কথা বের করবেন, তা হবে না।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মোশাররফ। গত বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জে দেওয়া একটি বক্তব্যের বিষয়ে এক সাংবাদিক মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আপনি বলেছিলেন, এই মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিমুক্ত করবেন। তাহলে কি মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি আছে?’
জবাবে মোশাররফ বলেন, ‘ওই দিন গোপালগঞ্জে আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি রয়েছে। আপনি দুর্নীতি নির্মূলে ভূমিকা রাখবেন কি না। জবাবে আমি বলেছিলাম, যদি দুর্নীতি থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই তা নির্মূল করব। তার মানে এটা নয়, আমি এ মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয় বলেছি।’
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দায়িত্ব গ্রহণের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোশাররফ। বৈঠক শেষে দুপুর দেড়টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাপক চ্যালেঞ্জ নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। জীবন-সায়াহ্নে এখন একটাই কামনা, জানাজায় অধিকসংখ্যক লোকের উপস্থিতি। গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আমি সঠিকভাবে পালন করতে পারব।’
মোশাররফ বলেন, ‘দেশের ৮৫ ভাগ মানুষের এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে। প্রতিবছর এ মন্ত্রণালয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট হয়। বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হয় এ মন্ত্রণালয়ে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৬৩ সালে ছাত্রজীবন শেষে একজন প্রকৌশলী হিসেবে এই মন্ত্রণালয়ে কর্মজীবন শুরু হয়। জীবনের প্রথমে এবং শেষে এ মন্ত্রণালয়ে আবার এলাম। এ মন্ত্রণালয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশনসহ বিশাল কর্মযজ্ঞ আছে, সেখানে কাজ করার সুযোগ পাব।’ দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দুটি মন্ত্রণালয়ই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের মতো আমার তো আর অন্য কোনো চাহিদা নেই। কাজেই আমি যদি দৈনিক ১৮ ঘণ্টা দুটি মন্ত্রণালয়ের জন্য কাজ করি, তাহলে সঠিকভাবে দুটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করা আমার পক্ষে সম্ভব।’
মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে সকালে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন মোশাররফ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কাছ থেকে দোয়া চাইতে গিয়েছি। তিনি আমাকে দোয়া করেছেন। আমাদের অভ্যন্তরীণ যে কথা হয়েছে, তা তো আপনাদের বলা যাবে না।’