DMCA.com Protection Status
title="৭

বাংলা সিনেমার অনবদ্য কৌতুক অভিনেতা দিলদারকে কেউ আর মনে রাখে না!

dildarদৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ  বাংলা চলচ্চিত্রের এক অমর নাম দিলদার।তার চলাফেরা, বাচনভঙ্গি, মুখ- সবকিছুই হাসাতো দর্শককে। তাই ভালো হয়ে যেতো মনও। দেশীয় চলচ্চিত্রের সেই কৌতুকাভিনেতা দিলদারের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী চলে গেলো নিরবে।

মৃত্যুর একযুগ পরও তার জনপ্রিয়তা এতোটুকু কমেনি। তবে চলচ্চিত্রাঙ্গনই এখন মনে রাখেনা তাকে! ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মেছিলেন দিলদার।

১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ ছবির মাধ্যমে রূপালি পর্দায় পথচলা শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর থেকে কাজ করে গেছেন দাপটের সঙ্গে। পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই ছিলো দমফাটানো হাসির রোল। আশি ও নব্বই দশকের দেশীয় ছবিতে কৌতুক আর দিলদার হয়ে উঠেছিলেন সমার্থক।

দিলদার অভিনীত ছবির তালিকায় উল্লেখযোগ্য ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘জীবন সংসার’, ‘প্রিয়জন’, ‘বিচার হবে’, ‘বীরপুরুষ’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’ প্রভৃতি। এর বেশিরভাগের শেষ দৃশ্যে তার সংলাপ দিয়েই সমাপ্ত হওয়াটা ছিলো নিয়মিত চিত্র। দিলদারের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে তাকে নায়ক করে তৈরি হয় ‘আবদুল্লা’ নামের একটি ছবি।

সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান দিলদার। ওই বছরের ১৩ জুলাই ৫৮ বছর বয়সে চিরঘুমে শায়িত হন তিনি। তার মৃত্যুর পর অনেক কৌতুকাভিনেতা এসেছেন, কিন্তু কেউই তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!