DMCA.com Protection Status
title="৭

প্রবল বাধায় আর্মি ষ্টেডিয়ামে ‘প্রান’এর আমজাদ খানের জানাজা হচ্ছে নাঃ বনানীতে দাফনেও বাঁধা

amjadক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  আজ মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৬টায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা কথিত যুদ্ধাপরাধী মেজর জেনারেল(অবঃ)আমজাদ খান চৌধুরীর লাশ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। বুধবার তাকে সমাহিত করা হবে।

তবে ইসলামী ঐক্যজোট ও হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদের মুখে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘কাদিয়ানী’ সম্প্রদায়ের সদস্য আমজাদের ‘জানাজা’ হচ্ছে না। এর পরিবর্তে বুধবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর বিজয় সরণি সংলগ্ন বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর মাঠে আমজাদের ‘জানাজা’ অনুষ্ঠিত হবে।

বিকাল বেলা ৩টায় বনানীর সামরিক কবরস্থানে তার দাফন হবে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এদিকে বুধবার সকাল ১১টায় আমজাদের লাশের প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি পুরোপুরিই বাতিল করা হয়েছে। গত ৮ জুলাই বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক ইউনির্ভাসিটি হসপিটালে মারা যান আমজাদ খান চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। তার বিরুদ্ধে বাঙালি সেনা, মুক্তিযোদ্ধা হত্যা,ধর্ষণ ও হিন্দুদের ঘরবাড়ি লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।

১৯৭১ সালেই বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে চলে যান আমজাদ খান। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধের কথা গোপন রেখে পাকিস্তানে বন্দি বাঙালি সেনা হিসেবে দেশে ফিরে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্তব্যে অবহেলা ও দুর্নীতির জন্যও তিনি বিতর্কিত। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট তার অধীনস্থ সেনারা তৎকালীন প্রেসিডেন্টের শেখ মুজিবের জীবন রক্ষায় নিয়োজিত থাকলেও তারা কোনো প্রতিরোধ করেনি বরং খুনীদের সহযোগিতা করেছিল। 

দুর্নীতির জন্য ১৯৮১ সালে তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। পরে তিনি ব্যবসায় নামেন ।

বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন প্রতিহতের ঘোষণাঃ

এদিকে সদ্য প্রয়াত মেজর জেনারেল(অবঃ)আমজাদ খান চৌধুরী  আহমদিয়া (কাদিয়ানি) সম্প্রদায়ের নেতা হওয়ায় বনানীর সামরিক কবরস্থানে শায়িত সন্মানিত সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে তাকে দাফন করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক নূর হোছাইন কাসেমী বলেছেন, আমজাদকে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করতে গেলে সর্বতো ভাবে তা প্রতিহত করবে হেফাজতে ইসলাম। বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হলে আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর বারিধারায় জামি'আ মাদানিয়া মাদ্রাসায় হেফাজত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। এদিকে মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধীর ভূমিকা রাখায় আমজাদ খান চৌধুরীর মরনোত্তর বিচার দাবি করে বনানীর সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোটও।

রবিবার এক বিবৃতিতে ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান ও খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী এই ঘোষণা দেন। বিবৃতি মাওলানা আমিনী আমজাদ খান চৌধুরীকে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আখ্যায়িত করে জীবিত থাকতে তার বিচার না করার সমালোচনা করে তার মরনোত্তর বিচার দাবি করেন।

এব্যাপারে সরকার এবং সামরিক কবরস্থান কর্তৃক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!