ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অনেক নাটকের পর শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
৯ জুলাই এক অজ্ঞাত কারনে হঠাৎ করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ১৫ জুলাই বুধবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার কথা ছিল তার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিষেধ করায় আশরাফ লন্ডনে যাননি।
কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সাংসদ আশরাফ ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জেলখানায় তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর লন্ডনে চলে যান আশরাফ।
সেখানেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হন সৈয়দ আশরাফ। তিনি পরবর্তিতে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হন।