ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ বৃহষ্পতিবার ২৩শে জুলাই '১৫ সকালে পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে স্থাপিত বিশেষ আদালতে শুনানীতে অংশ নিতে যাচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানী এটি।
ঠিক একই সময়ে মহানগর আদালতে উপস্থাপিত হতে যাচ্ছে বিএনপির সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা ও বিএনপির বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদীর দেশদ্রোহী মামলার চার্জশীট।
উল্লেখ্য জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে বিতারনের উদ্দেশ্যই এসব ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে এসব মামলার অবতারনা বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। যেনতেন ভাবে এসব মামলায় তদন্ত ছাড়াই চার্জশীট দাখিল করা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলে ধারনা করা হচ্ছে।
দেশনায়ক তারেক রহমান এবং জাহিদ এফ সরদার সাদীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মানলার চার্জশিট দাখিল হচ্ছে আজঃ
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে এই দেশদ্রোহীতার মামলাটি দায়ের করা হয়।পরবর্তিতে ২৭শেএপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় সিএমএম আদালতের ২৭নং কোর্টে বিচারক মোহাম্মদ ইউনূস খান এর এজলাসে এই মামলাটির শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুল করিম আরিফ পাটোয়ারী বাদী হয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি এপিপি এ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন এই শুনানীতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি'১৫ এ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলে আখ্যা দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ৪ঠা ফেব্রুয়ারী '২০১৪ জনাব জাহিদ এফ সরদার সাদী, শেখ মুজিবুর রহমানের মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও ফাঁসির দাবি এ নিয়ে দেশে-বিদেশে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। তারই ফলশ্রতিতে এই দুজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা টি দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার আইনজীবি ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দীন খোকন এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের আইনজীবি এ্যডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন,বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচাইতে নন্দিত এই সাবেক প্রধান মন্ত্রী এবং তার পূত্রের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়েই এই ম্যান্ডেট বিহীন সরকার ভিত্তিহীন অভিযোগে তাদের রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দুরে রাখতেই এই মামলাগুলোকে ব্যবহার করছে।
এপ্রসঙ্গে এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন,সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আইনের বিধিবিধান অনুযায়ী বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা গুলো চলছে। এই সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং তাতে কোন রকম হস্তক্ষেপ করবে না বলেও তিনি জানান। তবে এসব মামলায় দন্ড প্রদান করে তাদের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের আছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তর এ্যটর্নী জেনারেল এড়িয়ে যান।