ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এবং বিএনপি চেয়ার পারসনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা ও বিএনপির বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকারসহ বিভিন্ন কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি ও দেশদ্রোহিতার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ ২৩ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছিলো মুখ্য মহনগর হাকিমের আদালত। গত ২৭ শেএপ্রিল ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর পল্টন থানা পুলিশকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
কিন্তু আজ নির্ধারিত সময়ে আদালতে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়ে আরও অধিক সময় প্রার্থনা করলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল হক আগামী ১৭ শে সেপ্টেম্বর '১৫ তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন এবং ঐদিন পর্যন্ত এই মামলার শুনানী মূলতবী ঘোষনা করেন।
তারেক রহমান ছাড়াও মামলার অপর আসামি হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা এবং বিএনপির বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান ইস্ট লন্ডনের দ্য আট্টিয়াম অডিটোরিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু রাজাকার, খুনি ও পাকবন্ধু ছিলেন। তিনি শখের বন্দী ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের কোনো ভূমিকা নেই।
অন্যদিকে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আসামি সাদী এক লিখিত বিবৃতিতে দেশ ও বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে শেখ মুজিবুর রহমান মরনোত্তর বিচার, শাস্তি ও মরনোত্তর ফাঁসি দাবি করেন। ওই বক্তব্য বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে প্রচার ও প্রকাশ হয়। যা মানহানিকর। ঢাকা সিএমএম আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও মামলা হয়েছে। মামলাগুলিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি আছে।
জাতীয়তাবাদী আইজীবি ফোরামের নেতা এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার নেতৃত্ব বিপুল সংখ্যক বিএনপি পন্ন্থী আইনজীবি এ শুনানীতে অংশ নেন।শুনানীতে তার সাথে আরও অংশ নেন,এ্যাডভোকেট শাহজাদী কোহিনূর পাপড়ী,এ্যডভোকেট আবদুল খালেক,এ্যাডভোকেট রাহাত,এ্যাডভোকেট আমির হোসেন,এ্যাডভোকেট মিনা বেগম,এ্যাডভোকেট জেসমিন সহ বিপুল সংখ্যক জাতীয়তাবাদী আইনজীবিগন।