দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ প্রেমের ফাঁদে ফেলে আশুলিয়া থেকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে পতিতালয়ে এক তরুণীকে বিক্রির আটদিন পর ময়মনসিংহের একটি পতিতালয় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোমহর্ষক এই অপরাধের ঘটনায় জড়িত দুই প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, প্রেমের সূত্র ধরে গত ১৭ জুলাই প্রতারক চক্রের মূল হোতা সেন্টু হোসেন সাকিল কৌশলে আরো দুই বন্ধু আলমগীর ও রাশেদের সহযোগিতায় আশুলিয়ার নবীনগর এলাকা থেকে প্রাইভেটকারে ময়মনসিংহের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে ওই তরুণীকে।
পরে রিমি নামে এক নারী পতিতা দালালের কাছে বিক্রি করে দেয় এই তরুণীকে। এদিকে অপহরণ হওয়া তরুণীর পরিবার তরুণীর কক্ষে সেন্টুর দেয়া একটি চিরকুটের সূত্র ধরে থানায় অভিযোগ করে।
পরে পুলিশ সেন্টু ও আলমগীরকে আটক করে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ময়মনসিংহের কোতোয়ালির একটি পতিতালয় থেকে উদ্ধার করা হয় তরুণীকে।
প্রতারক সেন্টু মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের কোটকান্দি এলাকার মকর হোসেনের ছেলে ও আরেক প্রতারক আলমগীর চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার সাহেবগঞ্জের ইউসুফ আলীর ছেলে। তারা দুইজনই আশুলিয়ার নবীনগরে গ্রামীনসেবা পরিবহণের চালক ও সহকারী হিসেবে কাজ করত।
নির্যাতিত তরুণী একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করত ও তার বাড়ি আশুলিয়ার ভাটিয়াকান্দি গ্রামে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (আশুলিয়া ও ধামরাই) নাজমূল হাসান ফিরোজ বলেন, ওই তরুণীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটক প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তথ্য উদঘাটনে প্রতারকদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।